Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর রালদিয়া সপ্রাবিকে ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার দাবি
Raldia-primary-school-
ফাইল ছবি

চাঁদপুর রালদিয়া সপ্রাবিকে ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার দাবি

চাঁদপুর সদরের রালদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই চাঁদপুরে সর্বপ্রথম স্কুল ফিডিং ও অষ্টম শ্রেণি চালুর কার্যক্রম চালু হওয়ার পর ১০ শ্রেণি পর্যন্ত চালু এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছ্।ে

বর্তমান সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত পরিপত্র মতে,‘২০১০ এর শিক্ষানীতি’ বাস্তবায়নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুু মনি এমপি’র একান্ত ইচ্ছায় ও নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে সর্বপ্রথম চাঁদপুর সদরের রালদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির কার্যক্রম ২০১৩ সালে আর ২০১১ সালে চালু করেন স্কুল ফিডিং কার্যক্রম ।

চাঁদপুরের প্রাথমিক শিক্ষাঙ্গনে অষ্টম শ্রেণির কার্যক্রম ও স্কুল ফিডিং কার্যক্রমটি চালুর ক্ষেত্রে রালদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একটি মাইলফলক হয়ে আছে। যার সবটাই শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপুু মনি এমপি’র অবদান বলে বর্তমান স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো.বাদশা খান জানিয়েছেন।

স্কুলটির মুন্সীর হাট , হযরত শাহাজালাল ও বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় অনেক দূরে বিধায় স্থানীয়ভাবে এ স্কুলের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ূয়া শিক্ষার্থীগণের জন্যে ১০ ম শ্রেণি অধ্যায়নে খোলা আবশ্যক। শতভাগ অভিভাবকই চান এটি। অজপাড়াগাঁয়ের মেয়েদের শিক্ষা বিস্তারেই ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত চালু প্রয়োজন ।

এ স্কুলটি ১৯৬৯ সালে চাঁদপুর সদরের আশিকাঠি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রালদিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর শিক্ষা বিস্তারে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ শতাধিক এবং অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১ শ’ ৭৪ জন শিক্ষার্থী, ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ১ জন অফিস সহায়ক রয়েছেন। সঠিকভাবে ও সরকারি নির্দেশিত নিয়ম-নীতিতে পরিচালনায় একটি স্কুল দিন দিন যে উন্নতির পথে এগুতে পারে চাঁদপুর সদরের রালদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এর একটি উদাহরণ।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো.বাদশা খান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন , ‘ শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপুু মনি এমপি’র একান্ত ইচ্ছায় ও এটিকে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে তিনি সর্বদাই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা বিস্তারে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। তাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। অষ্টম শ্রেণি চালুর বছর ২০১৩ হলেও জেএসসিতে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২০১৬। সে থেকেই শতভাগ পাশ। এলাকার ছেলে-মেয়েরা জেএসসিতে পরীক্ষায় পাশ করে বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ পাশের স্কুলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন ,‘ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু হওয়ায় এলাকার শিক্ষার হার বাড়ছে। বাল্যবিয়ে রোধ হচ্ছে ও মেয়েরা সচেতন হয়ে উঠছে। গ্রামের অভিভাবকদের শিক্ষা খরচ হ্রাস হচ্ছে ও তাদের সন্তানদের ব্যাপারে মানসিক উদ্বিগ্নতা কমছে। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানটি অসামান্য অবদান রেখে আসছে। বিনাবেতনে শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠানটিতে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে অভিভাবকগণের প্রত্যাশা পূরণে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে রালদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত খোলার অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করছি।’

প্রধান শিক্ষক লুৎফুন্নাহার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘আমার শিক্ষকগণ কর্তব্য পালনে আন্তরিক,দায়িত্বশীল ও পানচুয়্যাল (নিয়ামনুবর্তিতা)। তাই বিদ্যালয়ের ফলাফল প্রশংসিত হচ্ছে।

সভাপতি সম্পর্কে তিনি বলেন,শিক্ষার প্রতি অনুরাগ ছিল বলেই স্কুলটির সার্বিক উন্নয়নে একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি বিধি মতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো বেতন নিচ্ছি না।’

ইতোপূর্বে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভুলবশত:স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সাবেক শিক্ষক মরহুম মাও.এরশাদ উল্লার নাম উল্লেখ করা হয়েছে যা তথ্যগত ভুল ছিলো।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
৩০ মার্চ, ২০১৯