Home / আন্তর্জাতিক / যে মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ইমরান খান
গ্রেপ্তার

যে মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ মে) ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। রেঞ্জার্স কর্মীরা তাকে হেফাজতে নেন।
ইমরান খান আদালতে গিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে হওয়া বেশ কয়েকটি এফআইআরে জামিন নিতে।

ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আটক করেছে ট্রাস্টে দুর্নীতির অপরাধে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খান নিশ্চিত করেছেন যে, প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান এনএবির দায়ের করা এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটে বলেছেন, নোটিশ পেয়েও ইমরান হাজির হননি। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ক্ষতি করায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে এনএবি। তাদের সঙ্গে কোনো সহিংসতা হয়নি।

পিটিআই নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন, আজকের আগে খানের নামে কোনো অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ছিল না।

গেল বছরের এপ্রিলে আস্থাভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর থেকে ৭০ বছর বয়সী ইমরানের নামে দুর্নীতি, সন্ত্রাস এমনকি ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোসহ নানা অভিযোগে একশর বেশি মামলা রয়েছে।

আল-কাদির ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট মামলা

গেল বছরের জুনে নতুন কোয়ালিশন সরকার অভিযোগ করে, ইমরান খান ও তার স্ত্রী ট্রাস্টের জন্য বিলিয়ন রুপির জমি পেয়েছিলেন মালিক রিয়াজ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য এই জমি পান তারা। মালিক রিয়াজ হলেন পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান ভূস্বামী।

এনএবির অভিযোগ, ইমরানের পিটিআই সরকার রিয়াজের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল যার ফলে জাতীয় কোষাগারের ২৩৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কালো টাকা সম্পর্কিত এক তদন্তে রিয়াজ যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কাছে ২৩৯ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তিসহ অন্যান্য সম্পদ হস্তান্তরে রাজি হন।

আইনজীবী আবুজর সালমান নিয়াজি বলেন, গেল বছর এনএবির সংশোধন করা আইনে ইমরানের গ্রেপ্তার বেআইনি। লাহোর-ভিত্তিক আইনজীবীর মতে, নতুন সংশোধনীর অধীনে, অভিযুক্তের নামে অবশ্যই একাধিক নোটিশ জারি করতে হবে। তখনই ওয়ারেন্ট জারি করা যায় সহযোগিতা এবং ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেপ্তার এড়ানোয় বারবার ব্যর্থ হলে।

নিয়াজি আল জাজিরাকে বলেন, এর আগে এনএবি চেয়ারম্যান যে কোনো আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার ক্ষেত্রে লাগামহীন ক্ষমতা রাখতেন। কিন্তু আইনে পরিবর্তন আনার পর সেটি আর নেই।

টাইমস ডেস্ক/ ৯ মে ২০২৩