যুব সমাজকে মৎস্য উৎপাদনে উৎসাহিত করতে হবে : স্পিকার

স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘যুব সমাজকে মৎস্য উৎপাদনে উৎসাহিত ও সম্পৃক্ত করতে হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ‘সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর পূর্বে স্পিকার ভার্চুয়ালি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ এর উদ্বোধন করেন এবং স্পিকারের পক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জাতীয় মৎস্য পদক ২০২১ প্রদান করেন। পরে স্পিকার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।

স্পিকার বলেন, ‘ মৎস্য খাত বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত, কেননা বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এবং এদেশে অনেক প্রাকৃতিক নদনদী ও জলাশয় রয়েছে। দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে দেশের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে।

প্রতিবছর মৎস্য সপ্তাহ পালন মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং জাতীয় মৎস্য পদক মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাঙালি জাতির কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ স্লোগানকে স্বার্থক করতে সবাইর প্রতি আহবান জানান। ’

এসময় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম,হুইপ ইকবালুর রহিম,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু,পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ.বি.তাজুল ইসলাম এমপি, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ ভবন লেকে রুই,কাতলা,মৃগেল,কালিবাউস,মহাশোল,সুবর্ণ রুই,পাবদা,গুলশা,গলদা চিংড়ির পোনা অবমুক্ত করা হয়।

স্পিকার বলেন, ‘ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের অবদান ১৯৭২ সালে জাতির পিতা অনুভব করেছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে পোনা মাছ অবমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুভ সূচনা করেছিলেন তিনি।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য উৎপাদনকে বিশেষভাবে উৎসাহিত এবং জনগণের পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য মৎস্যখাতকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন- যার সুফল জনগণ ভোগ করছে।

বার্তা কক্ষ , ৩০ আগস্ট ২০২১

Share