Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ধরা পড়া ‘৫০ ভাগ’ ইলিশের পেটেই ডিম
Hilsha
ডিমওয়ালা ইলিশ থেকে ডিম সংগ্রহ।

চাঁদপুরে ধরা পড়া ‘৫০ ভাগ’ ইলিশের পেটেই ডিম

সাগর ছেড়ে নদীর মিঠা পানিতে এসে ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ে। তাই মা ইলিশ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল প্রজনন মৌসুমে। নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৯ অক্টোবর থেকে আবারও মাছ ধরা শুরু হয়েছে। তবে ধরা পড়া চাঁদপুরে ৫০ ভাগ ইলিশের পেটে ডিম পাওয়া যাচ্ছে। তাই নিষেধাজ্ঞার সঠিক সময় নির্ধারণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জেলেসহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

তবে দেশের শীর্ষ মৎস্য বিজ্ঞানীর দাবি, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় এই কার্যক্রম সফল হয়েছে।

বছরে আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমায় ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এই সময় মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। মৎস্যবিজ্ঞানীদের গবেষণায় এমন তথ্যই মেলে।

যে কারণে প্রজনন মৌসুম মাথায় রেখে গত ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২দিন দক্ষিণের সাগর মোহনাসহ ইলিশ বিচরণের নদনদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু চাঁদপুরের জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছোটবড় মিলে এখনো ধরা পড়া সিংহভাগ ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে। তাদের মতে, মাছ না ধরার নিষিদ্ধ সময়টি যথার্থ হয়নি।

তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছে, ‘মা ইলিশ রক্ষায় জেলে এবং ব্যবসায়ীরা সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ইলিশ উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর দেশের শীর্ষ মৎস্যবিজ্ঞানীর দাবি, সারাবছর ডিম ছাড়লেও মৌসুমের এই সময় ইলিশ মাছ বেশি হারে ডিম ছাড়ে। তাই নিষেধাজ্ঞার সময় ছিল সঠিক।’

চাঁদপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, ‘ইলিশ নিষেধাজ্ঞার সময় ঠিক আছে। এ কারণে দেশে ইলিশের উৎপাদন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের আশা এ বছর ইলিশ সংগ্রহ পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।’

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময়কালের আগে-পরে ইলিশের পেটে ডিম থাকতে পারে। তবে এই সময়টাই সঠিক সময়। এই সময়েই বেশিরভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়ে।’

মৎস্যবিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে প্রতিটি ইলিশ, প্রজনন মৌসুমে ১০ থেকে ১২ লাখ ডিম ছেড়ে থাকে। (সময়)

বার্তা কক্ষ