চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার নীলকমল এলাকার মেঘনা নদীতে ১২ ফেব্রুয়ারি ভেকু পরিবহনকারী পন্টুনের ধাক্কায় জেলে নৌকা ডুবে গিয়ে জেলে আয়নাল হক মুন্সি (৬০) নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ছয় দিনেও তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় নীলকমল নৌ ফাঁড়ি ও হাইমচর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি নেয়নি পুলিশ। তাছাড়া ঘটনাটি চাঁদপুর জেলার হাইমচর নীলকমল সীমানায় ঘটলেও দায় এড়াতে চাচ্ছে পুলিশ- এমন অভিযোগ পরিবারের স্বজনদের।তারা আরো জানান জেলে আয়নাল হক নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পরেও নীলকমল নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গির খান নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে কোন ধরনের সহযোগিতা করেননি।
দীর্ঘদিন যাবত হাইমচরের নীলকমলে মেঘনা নদীর চরাঞ্চলের নদীর পাড় থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি চক্র। এই ঘটনায় চলতি সপ্তাহে চাঁদপুর থেকে কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্কুহেড ,পন্টুন জব্দ ও ১১ জনকে আটক করে।
নিখোঁজ আয়নালের পরিবারের সদস্যরা জানান সেখানে থাকা আরো কিছু ভেকু সেদিন পন্টুনে করে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মেঘনা নদীতে জেলে নৌকার উপরে উঠিয়ে দেয়। এ সময় আয়নাল হক মুন্সি পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ আয়নাল হক চরভৈরবি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া বগুলা গ্রামের মৃত সিরাজউদ্দিন মুন্সির ছেলে।
এ ব্যাপারে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম খান জানান দুর্ঘটনাস্থল হাইমচর নয়, এটি হচ্ছে শরিয়তপুর জেলায়। সেখানকার নৌ পুলিশ বিষযটি দেখছেন।তাছাড়া চাঁদপুর ও শরিয়তপুর নৌ পুলিশ সুপার স্যার ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪