Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / মতলব দক্ষিণে সবচেয়ে বেশি আলু উৎপন্ন : ৯১ হাজার মে.টন
potato-fields

মতলব দক্ষিণে সবচেয়ে বেশি আলু উৎপন্ন : ৯১ হাজার মে.টন

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি আলু উৎপন্ন হয়েছে । আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ছিল ৩ হাজার হেক্টরে ৬৬ হাজার মে.টন । উৎপন্ন হয়েছে ৯১ হাজার ১শ ৫৪ মে.টন। কম হয়েছে শাহারাস্তি ।

জেলা কৃষি সম্পসারণ খামার বাড়ির চলতি বছরের এক প্রতিবেদন সূত্রে ২১ এপ্রিল এ তথ্যে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে আলু উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৮ শ মে.টন। অথচ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৭৬ মে.টন এবং চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার হেক্টর। এ বছর প্রায় ৪৮ হাজার ৮ শ মে.টন আলু বেশি উৎপাদন হয়েছে ।

অন্যান্য উপজেলার মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৩৯ হাজার ৫শ ৭২মে.টন,মতরব উত্তরে ১৬ হাজার ১শ ২৮ মে.টন, শাহারাস্তি ৪শ ৩৩মে.টন , কচুয়ায় ৫৭ হাজার ৪শ ৬০ মে.টন, ফরিদগঞ্জে ১ হাজার ৮শ ১৫ মে.টন এবং হাইমচরে ৩ হাজার ৫ মে.টন আলূ উৎপন্ন হয়েছে ।

এদিকে চাঁদপুরে ১২টি হিমাগারে ৭০ হাজার মে.টন আলু সংরক্ষণ করার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে । বাকি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮শ মে.টন আলু হিমাগারের বাহিরে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু পরিমাণ আলূ উৎপাদন মৌসুম থেকে বিক্রি হয়ে আসছে এবং বাকি আলু কৃষকগণ কৃষিবিভাগের পরামর্শে কৃত্রিমভঅবে মাচায় সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে কৃষি দপ্তর জানান ।

এদিকে চলতি করোনা মহামারীতে ত্রাণ হিসেবে সর্বমহলে চালের পাশাপাশি আলু রাখায় কৃষকগণ আলুর ভালো দাম পাচ্ছে । পবিত্র মাহে রমজানেও প্রচুর আলূর চাহিদা বাড়ছে । বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর খুরচাা মূল্য ২০ টাকা। রমজানে প্রচুর চাহিদাও রয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে হোটেল রেস্তোঁরায় টানছে না আলু ।

পুষ্টিবিদদের মতে,আমাদের দেশের সব জেলার মানুষের মধ্যে আলু খাওযার অভ্যাস গড়ে উঠছে। আলু দিয়ে প্রায় ১শ প্রকারের খাবার তেরি করে খাওযা যায় । দেশের সব হোটেল-রোস্তোঁরায় ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে আলূর চাহিদা দিন দিনই বাড়ছে। ভাতের পরিবর্তেও আলু খাওয়া যায় ।

করোনাকালীন সময়ে সমাজের বিত্তবানরা খাদ্য সহাযতা হিসেবে চালের পাশাপাশি আলূও ত্রাণ হিসেবে দেয়া যেতে পারে। এতে একদিকে ভাতের ওপর চাপ কমবে অপর পক্ষে কৃষককূল বেঁচে যাবে। আলু উৎপাদনে চাঁদপুর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মুন্সিগঞ্জ দেশের মধ্যে প্রথম ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কৃষকদের সাথে কাথা বলে জানা যায়, বর্তমানে কৃষকরা লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো সেচ ব্যবস্থায়, গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, উন্নত বীজ,পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ও আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকলে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে জানান।

আবদুল গনি , ২৩ এপ্রিল ২০২১