মতলব দক্ষিণ

মতলব দক্ষিণে পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে জনজীবন অতিষ্ঠ

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং ও পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ থেকে সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। এছাড়া ১/২ ঘন্টা পর পর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। এতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও বাসা বাড়ীর ফ্রীজ, টেলিভিশন, মটর এবং মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যায়।

গত ৭দিন ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। লোডশেডিং পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করার নাম করে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে। এছাড়া ব্যাক্তি গত ট্রান্সমিটার পরিবর্তন করলে উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

ঘন ঘন লোডশেডিং সহ বিদ্যুৎ সরবরাহ দীর্ঘসময় বন্ধ রাখার বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেও সঠিক জবাব পাওয়া যায় না। তবে তারা কখনো বলে গ্রিড থেকে লাইন বন্ধ করে দিয়েছে আবার কখনো বলে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম। এদিকে বিদ্যুৎ লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসা বানিজ্যগুলোতে ধ্বস নেমেছে। বিশেষ করে কম্পিউটার, ফটোষ্ট্যাট, প্রেস, ওয়ার্কসপ, কনফেকশনারী, হোটেল রেস্তোরা, সেলুন, গার্মেন্টস আইটেমের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ঘন ঘন লোডশেডিং কারনে ক্রেতা বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীদের পড়া-লেখার বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। ৮ম শ্রেণির জে.এস.সি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভীষন ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

মতলব ম্যাক্সী স্ট্যান্ডের জিহাদ কম্পিউটার এন্ড ফটোস্ট্যাটের পরিচালক মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, গত ৬/৭ দিন ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বেশ লোকসান গুনতে হয়েছে। অনেক কাস্টমার এসে বিদ্যুতের কারণে কাজ করতে না পেরে ফেরৎ চলে যায়।
মতলব বাজারের ব্যবসায়ী উত্তম কুমার ঘোষ জানান, মতলবে যে ভাবে লোডশেডিং দেওয়া হয় অন্য কোন উপজেলায় দেখিনি। লোডশেডিং এর কারনে দোকানে ফ্রিজের মালামাল প্রতিদিনই বিনষ্ট হচ্ছে।

কলেজ ছাত্র নাহিদ হাসান রিমন, তানজির মাসুম, আলবি সরকারসহ একাদিক ভূক্তভোগীরা জানায়, ভেবে ছিলাম মতলবে বিদ্যুৎ সাব-ষ্টেশন হলে মতলববাসী লোডশেডিং থেকে মুক্তি পাবে। এখন দেখছি লোডশেডিং মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে। লোডশেডিং এর কারনে পড়ালেখার সীমাহীন ক্ষতি হচ্ছে।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মতলব দক্ষিণ জোনাল অফিসের এজিএম (কম) মোঃ মোসলেহ উদ্দিন জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং দেওয়া হয়। তবে বিনা কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে না।

মাহফুজ মল্লিক
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৩:০৩ এএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ

Share