Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলবে ডাকাত আতঙ্কে রাতভর গ্রামে গ্রামে পাহারা ও মাইকিং
ডাকাত

মতলবে ডাকাত আতঙ্কে রাতভর গ্রামে গ্রামে পাহারা ও মাইকিং

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর তীরবর্তী একাধিক গ্রামে দুই দিন ধরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ডাকাত-আতঙ্ক বিরাজ করছে। ডাকাতি রোধে গতকাল সোমবার রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এলাকার লোকজন গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে পাহারা দিয়েছেন। মানুষকে সচেতন করতে মসজিদে মসজিদে করা হয়েছে মাইকিং।

এর আগের দিন রোববার রাতেও একই চিত্র দেখা গেছে। এ অবস্থায় মতলব উত্তর থানা–পুলিশও তাদের টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে। এ ছাড়া একাধিক স্থানে পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। গত এক বছরে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত পাঁচটি বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে গত এক মাসে এই এলাকায় কোনো ডাকাতির খবর পাওয়া যায়নি।

উপজেলার সিপাইকান্দি এলাকার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গোলাম নবী বলেন, গত রোববার মতলব উত্তর থানা থেকে ডাকাতি রোধে সতর্ক হওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এই বার্তা পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় লোকজন ডাকাতি ঠেকাতে দলে দলে বিভক্ত হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব উত্তর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে পুলিশ মতলব উত্তর উপজেলায় সম্ভাব্য ডাকাতির বিষয়ে জানতে পেরেছে। ওই তথ্য পাওয়ার পরই ডাকাতি ঠেকাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

উপজেলার ফতেপুর এলাকার মো. মফিজ মিয়া বলেন, রাত হলেই তাঁদের গ্রামে ডাকাতির আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ জন্য গত দুই রাত তাঁরা নির্ঘুম সময় কাটিয়েছেন।

টরকী এলাকার বাচ্চু মিয়া বলেন, আশপাশের শতাধিক গ্রামের লোকজনকে সচেতন ও সজাগ থাকতে প্রায় প্রতিটি মসজিদ থেকে রাতে দফায় দফায় মাইকিং করা হয়েছে। রাতে পাহারায় নিযুক্ত স্থানীয় লোকজন তাঁদের এলাকায় অপরিচিত ও সন্দেহভাজন লোকদের দেখলেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

ছেংগারচর এলাকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সম্ভাব্য ডাকাতি রোধের বিষয়ে জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক থানার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ রাখছেন। এলাকাবাসীরাও জনপ্রতিনিধিদের নিয়মিত তথ্য সররবাহ করছেন।

পুলিশ পরিদর্শক মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, রোববার থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের একাধিক টহল চালুর পাশাপাশি পুলিশের তল্লাশি কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩