‘ভাগ্যবতী বলেই ইসলামের পতাকাতলে আসতে পেরেছি’

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক:

“কে কি বললো সেটা নিয়ে এখন আর মাথা ঘামাই না। অতীতকে ভুলে গিয়ে নতুনভাবে পথ চলা শুরু করেছি। আর এই পথ হলো ইসলামের পথ। যে পথে সবাইকে একদিন আসতে হবে। আমি না হয় একটু আগেই চলে এলাম। ভাগ্যবতী বলেই এই বয়সে ইসলামের স্বাদ পেয়ে গেলাম।” গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এমনটাই বললেন সাম্প্রতিককালের বেশ আলোচিত ও অতি উচ্চারিত নাম নাজনীন আক্তার হ্যাপী।

বেশকিছুদিন আলোচনার বাইরে ছিলেন হ্যাপী। গত সপ্তাহ থেকে ফের ভাইরালে পরিণত হয়েছে তার কয়েকটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। এমনকি এসব ঘিরে বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে খবরের শিরোনাম হন এই অভিনেত্রী। মূলত মিডিয়া জগৎ থেকে ফিরে এসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করায় অনেকের মনেই নানা প্রশ্ন জেগেছে। কেউ কেউ এটাকে হ্যাপীর স্ট্যান্টবাজি বা ভেলকিবাজি বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হ্যাপীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা হয়।

এটা হ্যাপির নতুন কোনো স্ট্যান্টবাজি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দেখুন সবার জীবনেই কিছু ব্যক্তিগত বিষয় রয়েছে। এটাও আমার সেই বিষয়ের অংশ। যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে তাই সবাইকে বলতে চাই এটা কোনো ভেলকিবাজি নয়। মুসলমান হিসেবে যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছি। আদায় করছি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। এক নামাজের পর পরবর্তী নামাজের আজানের জন্য অপেক্ষা করি। এছাড়া তিলাওয়াত করি কুরআন। অথচ এইগুলো নিয়েও কটাক্ষ করা হচ্ছে। আমার সঙ্গে কথা না বলেই অনেকে উল্টাপাল্টা নিউজ করছে। তাদের কাছে অনুরোধ অন্তত আমার সঙ্গে কথা বলে মন্তব্য শুনে খবর প্রকাশ করুক। অন্তত এই অনুরোধটা তাদের রাখা উচিত।”

আমরা কি তাহলে সেই আগের হ্যাপীকে পাবো না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি তো সেই আগের মানুষটিই রয়ে গেছি। পরিবর্তন শুধু হয়েছে চালচলনে। এখন আমি বোরকা পরি, করি পর্দা। এই তো বেশ ভালো আছি। ইসলামের প্রকৃত স্বাদ পাচ্ছি এখন। মিডিয়ায় আর ফিরবো না।”

অনেকে তো আছেন যারা নামাজ-রোজা করেও মিডিয়া পাড়ায় কাজ করছেন। আপনি কি সেটাও করবেন না? “নারে ভাই, সেটাও আর হয়ে উঠবে না। কারণ পর্দা করে তো আর সিনেমা করা যাবে না। ক্যারিয়ার নিয়ে এখন আর চিন্তিত নই। বাকি জীবন এভাবেই কাটিয়ে দিতে চাই।”

হ্যাপীকে আমরা সংসার জীবনে কবে দেখবো এমন প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা সময় নিয়ে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। বিয়ে নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। এখন একটাই লক্ষ্য ইসলামের রীতিনীতিগুলো আয়ত্ত করা।” (সূত্র বিডি প্রতিদিন)

Share