Home / বিশেষ সংবাদ / ভদ্রবেশী যৌনকর্মী রেখে আবাসিক হোটেলে পতিতা ও মাদক ব্যবসা
ভদ্রবেশী যৌনকর্মী রেখে আবাসিক হোটেলে পতিতা ও মাদক ব্যবসা

ভদ্রবেশী যৌনকর্মী রেখে আবাসিক হোটেলে পতিতা ও মাদক ব্যবসা

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৭:১৯ অপরাহ্ণ, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

ময়মনসিংহ শহরে বিভিন্ন ভদ্রবেশী যৌনকর্মী রেখে আবাসিক পতিতা ব্যবসা ও একই সাথে মাদক ব্যবসা করা শহরের কিং বলে পরিচিত ফাহাদকে  বৃহস্পতিবার আটক করে আবার ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ফায়াদ এর তত্বাবধানে রত্নাসহ তার কতিপয় রক্ষিতা দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক বাসা ভাড়া নিয়ে যৌন ও মাদক ব্যবসা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, রত্নার দুই সন্তান সহ অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে স্বামী পরিত্যক্ত হবার পর ময়মনসিংহ শহরে এসে চরপাড়াস্থ নয়াপাড়া তিন তলা বাসার নিচ তলা বাসা ভাড়া নিয়ে ফুসলিয়ে বিভিন্ন মেয়েদের এনে যৌন ব্যবসা করাতো।

বিষয়টি এলাকায় ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর স্থানীয় কমিশনার সহ লোকজন তাকে তাড়িয়ে দেয়।

পরে সে ব্রাহ্মণপল্লী এসে বাসা ভাড়া নেয়। কিছুদিন থাকার পর স্থানীয় লোকজন ৫ জন যৌন কমীসহ তাকে বিতাড়িত করলে পুরহিতপাড়ার জামান মনজিল ভাড়া নেয়। এখানে ফাহাদ এর সাথে রত্নার প্রেম হয়।

স্থানীয় লোকজন যৌন ও মাদক ব্যবসার দায়ে এখান থেকেও বিতাড়িত করে।

বর্তমানে বাঘমারা ও বাম্মপল্লী মোড়ে তিন তলা বাসা ভাড়া নিয়ে ৭ জন যৌন কমী সহ অবস্থান করছে।

ফাহাদ জানিয়েছে গত ২ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ( ডিবি ) পুলিশ কে মাসোহারার টাকা দিতে গেলে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। দীর্ঘ ১১ ঘন্টা ডিবির হাজত খানায় আটক রাখার পর রাত ১০ দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ফাহাদ এলাকায় প্রচার চালিয়েছে, রত্না তাকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ডিবি অফিস থেকে ছাড়িয়ে এনেছে।

রত্না জানিয়েছে, তার বাবা একজন সাংবাদিক। ত্রিশাল থাকেন, নাম নুরুল মোমিন। তিনি তার বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন। নুরুল মোমিন জানান, রত্নাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, রত্না দীঘদিন ধরে বাসায় বিভিন্ন মেয়ে রেখে যৌন ব্যবসা করে আসছে। প্রতিটি এলাকায় যুবসমাজ কে বিপদগামী করার পরই তাকে স্থানীয়রা তাড়িয়ে দিয়ে থাকে। ইতিপূর্বেও র‌্যাব তাকে আটক করেছিল।

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫