Home / চাঁদপুর / ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় চাঁদপুরে পাটের মূল্য ও চাহিদা বৃদ্ধি
ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় চাঁদপুরে পাটের মূল্য ও চাহিদা বৃদ্ধি

ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় চাঁদপুরে পাটের মূল্য ও চাহিদা বৃদ্ধি

সরকার পাটপণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় চাঁদপুরে পাটের মূল্য ও চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহামান কাল থেকেই চাঁদপুর জেলার মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষাবাদের উপযোগী। চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদী বিধৌত অঞ্চল হওয়ার ফলে পাট চাষাবাদে কৃষকরা খুবই আগ্রহী।

চাঁদপুরের ৮ উপজেলাতে এবার ৪০ হাজার বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৪ শ’৮০ হেক্টর ।

চাঁদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশি জাতের পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২২ হাজার ৯শ’৪৩ বেল, তোষা জাতের ১২ হাজর ৩শ’৯৮ বেল, কেনাফ জাতের ১ হাজার ৬ শ’২২ বেল এবং মেস্তা জাতের ২ হাজার ১শ ’৭০ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

কৃষকরা বর্তমানে লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, গোবর সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, উন্নত বীজ, পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদির পাটের ফলন ভালো হবে বলে কৃষিবিদরা জানান।

এ ছাড়াও চাঁদপুর জেলার কৃষকরা সময়মতো চাষাবাদ, বীজ রোপণ বা বীজবপন করে সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শি। তবে পাট পচাঁনো ও পাটখড়ি থেকে পাট ছড়ানোর ক্ষেত্রে চাষীরা সেই পুরানো পদ্ধতিতে করে যাচ্ছে । এতে চাষীদের সময় ও শ্রমের অপচয় হচ্ছে।

সরকার ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাষী,শিল্প ও কলকারখানাকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরিবেশ সুন্দর ও নির্মল রাখতে পাট পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছেন।

পলিথিন ব্যাগ ও কৃত্রিম তন্তু দ¦ারা প্রস্তুত পলি প্রোপাইলিনের মোড়ক ব্যবহার পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে বিধায় এর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে। এতে পাটের চাহিদা ও মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদপুরের দু’টি পাট শিল্পে গতি সঞ্চারিত হয়েছে ও শ্রমিকদের সুদিন ফিরতে শুরু করেছে।

সরকারি নির্দেশে ২০ টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এ পণ্যের মধ্য রয়েছে মরিচ,হলুদ,পেঁয়াজ,রসুন,আদা,ডাল,ধনিয়া,আলু,ময়দা,আটা,তুষপরা,পোল্ট্রি ও ফিস ফিড ইত্যাদি ।

এর আগে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে চাল,ধান,গম,ভুট্টা,চিনি ও সারÑ এ ৬টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক নিশ্চিত করতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়।

পাটের ব্যবহার বাড়াতে ২০১০ সালে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন’ ও ২০১৩ সালে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা’ প্রণয়ন করে। আইন না মানলে অর্থদন্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল,আমদানি ও রপ্তানি সনদ বাতিলের বিধান রয়েছে।

আইনটির ১৪ ধারা অনুসারে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে। এটি পুনঃসংঘটিত হলে সর্বোচ্চ দন্ডের দ্বিগুণ দন্ডে দন্ডিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চাঁদপুরের পাট অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের নভেম্বর হতে কোনো সংস্থা,মিল মালিক,আমদানি বা রফতানিকারক সরকারি নির্দেশিত পণ্যের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলকভাবে করার নির্দেশ দিয়েছে।

প্রতিবেদক- আবদুল গনি

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:১০ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Leave a Reply