কারাদণ্ড হয়েছে ১ ঘন্টার। কিন্তু সেজন্য তাদেরকে কারাগারে যেতে হয়নি। এই ১ ঘন্টা তারা দেখেছেন কেন মাস্ক পড়তে হয়, কীভাবে পড়তে হয়, না পড়লে কী ক্ষতি? এসব দেখার পর তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নিজেরা মাস্ক পড়বেন এবং অন্যদের মাস্ক পড়তে উৎসাহিত করবেন।
ব্যতিক্রম এই দণ্ড দেয়া হয়েছে চাঁদপুর জেলায়। ১১ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শহরের ইলিশ চত্বর মোড় ও হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম ও অলিদুজ্জামান। অভিযানে আটক ৮১ জনকে মাস্কবিহীন অবস্থায় আটক করা হয়। এরপর তাদেরকে নেয়া হয় স্টেডিয়ামের হল রূমে এবং সেখানে বড় পর্দায় ভিডিওতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে তুলে ধরা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের তত্ত্বাবধানে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তিনি বলেন, শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান এর নির্দেশে মঙ্গলবার থেকে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছি। তবে গতকাল থেকে আজকে একটু ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছি।
আরও পড়ুন- চাঁদপুরে মাস্ক না পরায় ১৪৩ জনকে জরিমানা
তিনি আরো বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতে শুধুমাত্র আর্থিক জরিমানা নয়, এ সময় দন্ডপ্রাপ্তদেরকে একটি হলরুমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরার বিষয়ে ১০ মিনিটের একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। এই ভিডিও দেখে অনেকেই মাস্ক পরার বিষয়ে উৎসাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি তারা ওয়াদা করছে সব সময় নিজেরা মাস্ক পরবে এবং পরিবারের লোকদেরকেও পরার জন্য বলবে।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মধ্যে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম ১৮ মামলায় ১৮জনকে দুই হাজার ৬শ’ টাকা এবং ইলিশ চত্বরের ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামান ৩৪ মামলায় ৬৩জনকে ৫ হাজার ২০টাকা জরিমানা করেন।
দু’টি অভিযানে পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
ডিএইচ