মতলব দক্ষিণ

‘বৃষ্টি হলে হাটু পানি, খরা হলে কাদা, এ নিয়ে চলাচলে কষ্ট আর বাধা’

সামান্য বৃষ্টি হলেই মতললব পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র কলেজ গেইট থেকে রিক্সাস্ট্যান্ড পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কে জমে থাকা পানি সরানোর ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয় এ জলাবদ্ধতার।

দেখে মনে মনে ছোট খাল। কাদা ও ময়লা পানিতে পথচারীদের স্বাভাবিক চলাফেরায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মতলব থেকে ঢাকা যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ও সড়কটি।

ষাটোর্ধ্ব বয়সের হেকমত আলী ছন্দে ছন্দে বলেন ‘বৃষ্টি হলে হাটু পানি, খরা হলে কাদা, চলাচলে মানুষের যতো কষ্ট আর বাধা।’ জলাবদ্ধতা আর কাদার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয় স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের।

রয়মনেন নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মুনমুন বলেন, রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় ভারি যানবাহনের চাকা গর্তে পড়লে ময়লা ও কাদা মাটি ছিটকে ড্রেস ময়লা হয়ে যায়।

মতলব ডিগ্রি কলেজর দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র মুন্না সরকার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, রাস্তায় কাদাপানি থাকায় দোকানের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ নিয়ে দোকান মালিকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।

আটোবাইক চালক মালেক ও জসিম উদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘গর্তের কারণে যাত্রী বেশি লইয়া গাড়ি চালান যায় না। বেশি ছাত্রী লইলে গর্তে পইড়া উল্টাইয়া যায়।’

মতলব প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম সারওয়ার সেলিম জানান, ‘রাস্তা সংস্কার করার আগে ড্রেনের ব্যবস্থা করা না হলে রাস্তা যতই মজবুত করা হবে তা টিকবে না।
মতলব পৌরসভার সদর ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘বৃষ্টিবাদলের কারণে সংস্কার কাজ হচ্ছে না। তবে বৃষ্টি কমলে সহসাই কাজ করা হবে।’

পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘প্রধান সড়কসহ পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের জন্য মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ১নং ব্রীজ থেকে বাজার রিক্সা স্টান্ড পর্যন্ত এবং ১নং ব্রিজ থেকে বারঠালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত দুটি সড়কের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ড্রেনের ব্যবস্থাসহ রাস্তাঘাট উন্নয়নে প্রায় ১৪ কোটি টাকার প্রকল্প দেয়া হয়েছে। শুকনো মৌসুমে অর্থাৎ বৃষ্টি বাদল যখন থাকবেনা তখন এ সংস্থার কাজগুলো করা হবে।’

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক

Share