Home / চাঁদপুর / ঈদ আনন্দ শেষে বৃষ্টি ও নানা ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ

ঈদ আনন্দ শেষে বৃষ্টি ও নানা ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ

‎Tuesday, ‎July ‎21, ‎2015  05:33:26 AM

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর :

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগির পর এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির যন্ত্রণা সয়েই পরিবার-পরিজনসহ কর্মস্থলে ফিরেছেন কর্মজীবী মানুষগুলো।

ইতোমধ্যে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে চাঁদপুরসহ দেশের অফিস-আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। যে সকল কর্মকর্তারা আগে বাড়তি ছুটি নেননি তারা ঈদে নিয়েছেন বাড়তি ছুটি। পাশাপাশি যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস অথবা ছোটখাটো ব্যবসায়ের সাথে জড়িত তারা এখন ছুটছেন কর্মস্থলে।

আবার চাকুরীজীবীদের অনেকের পরিবারের লোকজনকে ঈদের ছুটিতে ভীড়ের কারণে প্রথম পর্যায়ে ফেরা না হলেও এখন তার ফিরছেন নিজের গন্তব্যে।

বুধবার ভোর নাগাদ চাঁদপুর রেলস্টেশন, লঞ্চ ঘাট এবং বাস স্ট্যান্ডে শুরু হয়েছে ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ। তবে বৃষ্টিতে গ্রামের পথঘাট কাঁদামাটিতে সয়লাব থাকায় ঈদের আনন্দ তেমন উপভোগ করতে পারেননি অনেকেই।

বৃষ্টি আর সড়কে যানজটের দুর্ভোগের শিকার এবং ছুটির হিসাব মাথায় রেখে কর্মজীবী মানুষের অনেকেই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। ঈদের আগে প্রধান সড়কগুলো ছিল যানজটের দখলে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের।

বাস স্ট্যান্ডে কথা হয় রাজনের সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকায় তিনি জানান, ‘ঈদে বাড়িতে এসে আবার কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া যথেষ্টে ভোগান্তি আছে। তার উপর এবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ছোট বাচ্চাটার জ্বর চলে আসছে। দুর্ভোগ মেনে নিয়েই প্রতি বছর আসি বাবা মায়ের সাথে ঈদ করতে।’

দুর্ভোগ আর ভোগান্তি এড়াতে একটু আগেভাগেই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেন শহরের বাসিন্দারা। এ ছাড়া শুধুমাত্র যানজট এড়াতে যাদের নিজস্ব পরিবহন রয়েছে তারাও আগেই রওনা দিচ্ছেন শহরের পথে।

মঙ্গলবার যাত্রীদের চাপ ছিল অনেক বেশি আগামীকালও যাত্রীদের চাপ থাকবে বলে ধারণা চাঁদপুরের লঞ্চ ও বাস মালিক ও চালকদের। তারা জানান, মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। তবে প্রতিবছরের চেয়ে এবার একটু চাপ বেশি মনে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, ঈদের আগের ৫ দিন এবং সোমবার থেকে সাত দিন পর্যন্ত অতিরিক্ত চাপ সামলাতে বাড়তি ট্রেন ও লঞ্চের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

চাঁদপুর টাইমস : ডিএইচ/এমআরআর/২০১৫।

চাঁদপুর টাইমস প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না