শাহরাস্তিতে কৃষি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রশাসন চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতভর কৃষি জমির মাটি কাটার চলছে মহাউৎসব। চাঁদপুর-লাকসাম রেল লাইনের উপর দিয়ে অবৈধ ভাবে রেল সড়ক কেটে রাতভর কৃষি জমির মাটি পারাপার করছে একটি মহান। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

ঘটনার স্থলে গিয়ে দেখা যায়, শাহরাস্তি পৌর এলাকার পশ্চিম উপলতা কৃষি মাঠ থেকে মেহের স্টেশন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম অবৈধ ভাবে রেল সড়ক কেটে রেল লাইনের উপর দিয়ে রাতভর কৃষি জমির মাটি পারাপার করছে। হেকীম সফিকুর রহমানের বাড়ির মাঝখান দিয়ে রাতভর চলাচল করছে মাটিবাহী ট্রাক। রাত ১০টার পর থেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতভর কাটা হয় কৃষি জমির মাটি। শাহরাস্তি পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের হেকীম বাড়ির আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ঝর্না বেগম জানান পৌর কাউন্সিলরের কাছে বহু বার বলার পর ও আমাদের বাড়ির রাস্তা করে দেয় নাই।

মাটি ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম আমাদের বাড়ির রাস্তা করে দিবেন বলে তার মাটিবাহী ট্রাক গুলো বাড়ির মাঝখান দিয়ে বরাবর করছে। একই বাড়ির বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, অনেকদিন ধরেই বাড়ির মাঝখান দিয়ে মাটিপার করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে পুলিশের কথা বলে কাজ বন্ধ থাকে আবার দুদিন পরে মাটি পারাপার শুরু হয়।

এদিকে রাতের আঁধারে রেল লাইনের উপর দিয়ে মাটি পারাপার করার যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে মাটিবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে হেকীম বাড়ির চলাচলের রাস্তাটি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বাড়িতে থাকা শিশুরা মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে । এদিকে কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রেল সড়ক কেটে ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থা করায় বিষয়টি তোলপাড়ের সৃষ্টি করেছে। মাটি ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এলাকায় নেই বলে জানান। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ফসলি মাঠে মাটি খেকোদের অত্যাচারে ফসলী মাঠের মালিক অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কারণবশত কোন একজন ফসলি জমির মালিককে পুষলিয়ে এক মাঠের একটি জমির মাটি বিক্রি করলে। বাকি সবগুলো জমির মাটি এমনিতেই বিক্রি করা লাগে।

যেমন তারা এক ফুট মাটি কিনবে বলে জমির মালিকের সাথে কথা বলে। পরবর্তীতে দেখা যায় রাতের আধারে বেকু দিয়ে ৩/৪ ফুট করে মাটি নিয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে জমির মালিক প্রতিবাদ করলে তারা কোন তোয়াক্কা করেনা। উল্টো মাটি খেকোরা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দুমকি দিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে। এবং কাউকে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।

বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।

শাহরাস্তি প্রতিনিধি, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

Share