Home / শীর্ষ সংবাদ / বিদ্যালয়ের সামনে অবৈধ স্ট্যান্ড ও দোকানপাট
বিদ্যালয়ের

বিদ্যালয়ের সামনে অবৈধ স্ট্যান্ড ও দোকানপাট

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের উপর অবৈধ স্ট্যান্ড ও দোকানপাট গড়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত সাধারন মানুষ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে গিয়ে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। এসব অবৈধ স্থাপনা গত কয়েক বছর ধরে চলমান থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই।

দেখা যায়, বলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ফটকে প্রায় ১০টি ছোট ছোট টং দোকান গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে নতুন কয়েকটি দোকানসহ অটো স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। বলাখাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতি এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠার পেছনে প্রতিরোধ না করে বরং সম্পিততার অভিযোগ খুজে পাওয়া যায়।

সরেজমিন চিত্রে দেখা যায়, বলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গড়ে উঠা এসব অবৈধ দোকান পরিচালনা করছেন বলাখাল এলাকার মো. রমজান, মো. হানিফ, নারায়ন, আশ্রাদ, জৈত্র, ইয়াছিন ও নাছিরসহ ৭/৮ জন ব্যক্তি। তারা কেউ কেউ দৈনিক ২০ টাকা হারে বলাখাল বাজারের খাজনা আদায়কারী শফিক মিয়াকে দিচ্ছেন বলে জানান। আবার কেউ দোকানের মূল মালিককে মাসে ৫ শ টাকা দোকান ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।

এসব সারিবদ্ধ দোকানের মাঝে বিদ্যালয়ের সামনে আবার গড়ে উঠেছে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড। যা কিনা ফেলেছে আরো বড় ভোগান্তিতে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যাত্রীসাধারন চলাচলে পড়তে হয় যানজটে।

বলাখাল বাজারের পথচারী মনির হোসেন, মান্নান ও কলেজ ছাত্র শুভ বলেন, আমরা দক্ষিন বলাখালে যাতায়াত করতে গিয়ে বেশীরভাগ সময় এখানে আসলে পড়তে হয় যানজট ভোগান্তিতে। বলাখাল বাজার ব্যবসায়ী, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা পৌরসভার যেন কোন মাথা ব্যথা রেই।

বলাখাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা মিজি বলেন, এখানে যারা টং দোকান দিয়ে ব্যবসা করছে সবাই গরীব মানুষ। পৌরসভা চাইলে যে কোন সময় তারা দোকান উচ্ছেধ করে ফেলবে। স্থায়ী কোন অটো স্ট্যান্ড না থাকায় এখান থেকে যাত্রী উঠা নামা করে।

বলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া আক্তার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমরা ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেয়রকে অবহিত করেছি। বিদ্যালয়ের সামনে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেধের জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার ও অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ পেলে উচ্ছেদের উদ্যাগ নেব।’

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২