চাঁদপুর

বিএনপি ঘরোনার ভোটেই বিজয়ের ব্যবধান বাড়ালো

অনেক জল্পনা, কল্পনা, প্রচারণা, নানা অনুযোগ আর পাল্টা অভিযোগের ইতি টেনে শেষ হলো চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন।

ঠিক একদিন আগেও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে সরব ছিলো কে হচ্ছেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান?

নানা সমীকরণ উপস্থাপন করে দু’টি পক্ষেই মত দেয়া হয়। এক হলো ঘোড়া প্রতীকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকে নুরুল আমিন রুহুল, কেউ বা আবার চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্বা ওচমান গণি পাটওয়ারীর প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তবে প্রতিটি সমিকরণে কিছু যৌক্তিকতা তুরে ধরে নানাজন মতামত পেশ করেন।

সমীকরণকে কিছুটা ডিঙিয়ে সে প্রশ্নের উত্তর বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরেই পেয়ে যায় চাঁদপুরবাসী।

নির্বাচনের পূর্বে ভোটের অংক কষতে থাকলেও ফলাফল শেষে ভোটের ব্যবধান চিত্র দেখে অনেকেই কারণ অনুসন্ধানে নানা মত তুলে ধরেন।

যেখানে মোবাইল প্রতীকে পক্ষ থেকে বরাবরই দাবি করা হয়েছিলো স্থানীয় এমপি নির্বাচনে আচরণ বিধি লংঘন করে ভোটারদেরকে নানা প্রলোভনে মত পাল্টানোর চেষ্টা করছেন।

দাবিকৃত সব বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে ফলাফল শেষে জয়ের মালা ছিনিয়ে নেন মোবাইল প্রতীকের আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী।

জয়ের কারণ অনুসন্ধানের চেয়ে সবার দৃষ্টি ছিলো ভোটের ব্যবধানের দিকে। এক্ষেত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ সমর্থিত একাধিক জনপ্রতিনিধির বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে।

তাদের মতে, বিএনপি সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরাই ভোটের মাধ্যমে জয়ের ব্যবধান অনেক দূর নিয়ে গেছেন। কারণ পূর্ব থেকেই ওচমান গণি পাটওয়ারীরর সাথে তাদের সখ্যতা ছিল এবং সে সুযোগ লাগিয়ে নীরবে কাজ করেছেন বিএনপি ঘরোনার অনেক নেতা-কর্মী । তাছাড়াও ওচমান গণি পাটওয়ারীরর স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ, সদাচরণ ছিল উল্লেখ করার মতো ।

এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করায় বিএনপি থেকে কোনো প্রার্থী না থাকায়, জনপ্রতিনিধিদেরকেও ভোটের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে পরোক্ষভাবে তৃণমূল পর্যায়ের অনেক নেতাই মোবাইল প্রতীকে ওচমান গণি পাটওয়ারীকে ভোট দেয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা ও টপ লেভেলের ক’জন জনপ্রতিনিধির সাথে আলাপকালে জানা যায়, জেলায় সাড়ে ৩ শতাধিক বিএনপি সমর্থিত জনপ্রতিনিধি রয়েছে। তারাই আওয়ামীলীগের দু’প্রার্থীর ভোটের বিভাজন তৈরি করে ব্যবধান অনেক দূর নিয়ে গেছে ।

যুক্তি হিসেবে তারা জানিয়েছেন, মোবাইল প্রতীকে ওচমান গণি পাটওয়ারীর প্রাপ্ত ভোটের সাথে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের ৩৫৬ ভোটের ব্যবধান। এ হিসেবে বলা যায়, নেতাদের উৎসাহে বিএনপি সমর্থিত প্রায় সবকটি ভোটেই মোবাইল প্রতীকে পড়েছে।

এছাড়া ওচমান গণি পাটওয়ারীও বিএনপির জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সাথে পূর্বের সম্পর্কের জেরে নিজেকে জানান দেয়ার চেষ্টার পাশাপাশি ভিন্নমত সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরে সমর্থন নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। সবশেষে তিনি সফলও হয়েছেন বলে মনে করে তৃণমূল।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট ।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ১০ : ৩৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ বুধবার
ডিএইচ

Share