ধীরে ধীরে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। এতোদিন পানিবন্দি হয়ে থাকা বানভাসি মানুষের দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই! বন্যা পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাড়াঁনো নিয়ে-ই এখন চিন্তিত বানভাসি দুখী মানুষ।
বন্যায় ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের রূপনগর গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানি কমতে শুরু করলেও এখনও পানিবন্দি হয়ে আছেন প্রায় দুই’শ পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বাড়ি-ঘর, সঙ্গে ফসলি জমি ও বিভিন্ন সবজির খেত। এ জনপদে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট।
বন্যাদুর্গত ক’টি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাশের বংশী নদীর উপচে পড়া পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো রূপনগর। নিচু এলাকা এখনও প্রায় ৫/৮ ফুট পানির নিচে রয়েছে।
অনেকের মৎস্য খামার ছাড়াও ভেসে গেছে শাক-সবজির খেত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি-ঘরও। ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ। ঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেকে উচু করে টং নির্মাণ করে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
তবে দুর্যোগের সময়ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
রূপনগর গ্রামের কৃষক ঈমান আলী বলেন, ‘আমরা এতো কষ্টে আছি, কিন্তু কেউ আজ পর্যন্ত খবর পর্যন্ত নিলো না। সাহায্য তো দূরে থাক।’
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কালিপদ সরকারও।
তিনি বলেন, ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্ট করে এখনও জানা নেই। ক্ষতিগ্রস্তদের কোনো প্রকার সাহায্যও করা হয়নি।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১:৫০ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ