Home / সারাদেশ / বাজারে মাছ বলতে শুধু ইলিশ!
Hilsha fish
ফাইল ছবি

বাজারে মাছ বলতে শুধু ইলিশ!

কোরবানির পশুর মাংসের স্বাদ নেওয়ার পর রাজধানীবাসী এখন ছুটছেন মাছের বাজারে। স্বাদের ভিন্নতা আনার পাশাপাশি যদি ক্রেতাশূন্য বাজারে স্বস্তায় কিছু মেলে মন্দ কি? তবে বাজারে মাছ বলতে শুধু ইলিশের দেখা মিলেছে।

আর দাম মোটেও ঈদের আগের সময়ের তুলনায় কম নয়। যদিও বিক্রেতার দাবি কেজিতে ইলিশের দাম কমেছে ২-৩শ’ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের দুয়ারিপাড়া বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বাজারে দেখা যায়, মাত্র তিনজন বিক্রেতা দোকান সাজিয়ে বসেছেন, যেখানে দুইজন শুধুই ইলিশ বিক্রি করছেন। আরেকজনের দোকানে দু’তিনটি অন্য রকমের মাছ থাকলেও প্রাধান্য ইলিশ। মূল বাজারের বাইরে ফড়িয়া দুই ব্যবসায়ীও ইলিশ নিয়ে বসেছেন।

তবে ক্রেতা যে নেই তা কিন্তু নয়। ঈদের পরদিন সকালেই মাছের ক্রেতা মিলবে এমন অভিজ্ঞতা থেকেই এসব দোকানদার মাছ নিয়ে বসেছেন। আর মাছ কেনার চেয়ে দাম শুনে হেঁটে চলে যাওয়া ক্রেতার সংখ্যাই বেশি দেখা গেলো।

তবে কারওয়ান বাজার আড়তে ইলিশের যোগান রয়েছে তা বিক্রেতা আনোয়ারের কথোপকথনে বোঝা গেলো। এ বিক্রেতা বলেন, সকালে ঘুমিয়েই ছিলাম, আড়ৎ থেকে ফোন দিয়ে বললো মাছ নিয়ে যেতে, তাই আনলাম। তার দোকানে ৮/৯ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকা কেজি। আর ৬/৭শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৮শ টাকা। তার দাবি ঈদের আগে বড় সাইজের এই ইলিশ বিক্রি করেছি এক হাজার দুইশ টাকায়।

পাশেই আরেক দোকানে ৪শ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ টাকা কেজিতে। এ দোকানে দেখা গেলো সামুদ্রিক কাইকলা (বড়) ৩২০টাকা কেজি, পোয়া ২৮০টাকা কেজি, চিংড়িং (ছোট) সাড়ে ৩শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মূল বাজারের বাইরে সোয়ারি ঘাট থেকে ইলিশ নিয়ে বসা মাদারীপুরের নুরুল আমিন ৭/৮শ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি চাইছেন সাড়ে তিন হাজার টাকা। যদিও তাতে ক্রেতার সাড়া কম দেখা গেলো।

বাজারে সবজিও উঠেছে মোটামুটি। দাম কিছুটা বেশি। আর লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় হালিতে (আকারভেদে) বেড়েছে ৫/১০ টাকা।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Leave a Reply