Home / তথ্য প্রযুক্তি / বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে :পালক
বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে :পালক

তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় আইওটি, রোবোটিকস, সাইবার সিকিউরিটিসহ উচ্চতর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম আইটি বিজনেস হাব হিসেবে গড়ে উঠবে।’

শনিবার (২৮ নভেম্বর) এক ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ চট্টগ্রামবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য উপহার। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ-এর ‘ব্রেইন চাইল্ড’ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, একইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে একরকম উল্লম্ফন সৃষ্টি হবে। আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে বের হয়ে তরুণ উদ্যোক্তারা আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে যেন ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে পারেন সে লক্ষ্যে একই জায়গায় একটি হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজও শিগগিরই শুরু হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিযোগিতার এই যুগে আমাদের তরুণদের টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নাই। সরকার এজন্যই একটি প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন। আমরা দৈনন্দিন অনেক কাজই এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করতে পারছি। আমাদের রপ্তানি খাতেও ডিজিটাল ডিভাইস অবদান রাখতে পারে। এই ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে ট্রেনিং নিয়ে এখানকার তরুণরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখন থেকে আর চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না, নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকরি দেবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘চট্টগ্রামে এতোদিন যে গতানুগতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে এসেছে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতেও এখন চট্টগ্রামবাসীর অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো। এই আইটি ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে আইটি/আইটিইএস খাতে চট্টগ্রামের যুব সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

আইসিটি বিভাগের আরেকটি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রায় ২০০০ বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং ৫৭০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে যাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১২ জনকে ল্যাপটপ দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক। এ সময় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ব্যাবহার উপযোগী একটি ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, জব পোর্টাল ও ডাটাবেইস উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানান তিনি।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি, ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন’ প্রকল্পের প্রকল্প পারিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মোস্তফা কামাল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাকক্ষ,২৮ নভেম্বর,২০২০;