ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের কান্ডারি হতে চান খলিলুর রহমান

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১০ ডিসেম্বর। এ সম্মেলনের পূর্বে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর আ. লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর আ. লীগের সম্মেলনের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি।

জেলা আ. লীগের সম্মেলনের পূর্বে ফরিদগঞ্জে আদৌ কোনো সম্মেলন হবে কি না এ নিয়ে সংশয় রয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। একাধীক সূত্র জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের সম্মেলন হতে পারে।
তবে সম্মেলন তারিখ নিয়ে সংশয় থাকলেও বসে নেই সম্ভাব্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা। নিজেদের প্রার্থীতার বিষয়ে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। কেউ কেউ পোস্টারিংসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে নিজের প্রার্থীতার বিষয়ে জানান দিচ্ছেন। পাশাপাশি রাজনীতিতে নিজস্ব বলয়ের নেতাদের কাছে ধর্ণা দিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা ও পৌর আ. লীগের সভাপতি-সম্পাদক পদে সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি তরুণ প্রার্থীরা প্রচারে বরাবরের মতো এবারও এগিয়ে রয়েছেন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের সম্মেলনসহ রাজনীতির নানান বিষয় নিয়ে থাকছে ধারাবাহিক প্রতিবেদন। প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে পৌর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী মো. খলিলুর রহমানকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্থ ও শ্রম দিয়ে দলের জন্য যারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুল আউয়ালের পরিবার। আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ এ পরিবারের সদস্যরা দুঃসময়ে দলের নেতাকর্মীসহ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দলীয় কার্যক্রমেও রয়েছে তাদের পৃষ্টপোষকতা। এ পরিবারেরই সদস্য ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজসেবক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. খলিলুর রহমান। তিনি পৌরসভা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী।

খলিলুর রহমানের পিতা এ অঞ্চলে বিখ্যাত হাজী আউয়াল সুইটসের সত্তাধিকারী। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কোষাধক্ষ্য ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুল আউয়ালের পারবারের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে আ. লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর সেজো ছেলে অব্দুল মমিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ছিলেন। মেঝো ছেলে প্রবাসী মো. শরীফ আওয়ামী লীগের গ্রীস শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আরেক সন্তান হারুনুর রশিদ ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাজী বিল্লাল হোসেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন। মোটকথা সমগ্র পরিবারটি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতার বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের পরিবার আওয়ামী পরিবার। আমাদের রক্তে মিশে আছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আমার বাবা থেকে শুরু করে ভাইয়েরা সবাই এ দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে আগামী পৌরসভা আ. লীগের সম্মেলনে আমি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভে সকল কাউন্সিলর- নেতাকর্মীসহ সকলের কাছে দোয়া ও সমর্থন চাই।

অপরএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়াতে দলের পৌরসভা ইউনিটে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। সভাপতি মোতাহার ভাই মারা যাওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি শূন্য। কমিটির মেয়াদর্ত্তীণ হয়ে গেছে। আমি বলবো দল ও জনগণের স্বার্থে কাউন্সিলের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা জরুরি। েেএক্ষত্রে দলের তরুণদের উপর সকলের আস্থা অনেক অনেক বেশি রয়েছে বলে আমি মনে করি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জয়লাভ করেন খলিলুর রহমান। পরবর্তীতে প্যানেল মেয়র-১ নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সদস্য, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি, সাফুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিমটির সহ সভাপতি ও চরহোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ৬নং ওয়ার্ড আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৫ নভেম্বর ২০২২

Share