ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে রাস্তা সংস্কারের নামে বরাদ্দের হদিস নেই!

স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পার হতে চলেছে,দেশে একের পর এক সরকার পরিবর্তন হয়েছে, গ্রাম থেকে চেয়ারম্যান পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছে কিন্তু তার পরেও গ্রামের চার দিকের কাচাঁ রাস্তায় একটি ইট পড়তে দেখেনি কেউ। বর্তমানে টানা বৃষ্টিতে বর্ষার পানি চুই চুই করছে, ছোট বড় গর্তে নিমর্জিত রাস্তায় একটি রিক্সা দূরে থাক সাইকেল পর্যন্ত চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সর্বসাধারন মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগে রয়েছে।

একাধিক সময়ে রাস্তার জন্য থোক বরাদ্দের বাজেট আসলেও এসব বরাদ্দের সঠিক কোন হদিস নেই। বর্তমানে চলমান বর্ষা ও টানা বৃষ্টিতে মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ প্রহাতে হচ্ছে।

সরেজমিন চিত্রে এমনি এক অবহেলিত অঞ্চলের দেখা মেলে হাজীগঞ্জের সীমান্তবর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩ নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের তেলিসাইর গ্রামে।

জানাযায়, ইউনিয়নের মধ্যে এই ৩নং ওয়ার্ড তেলিসাইর গ্রামে প্রায় ১০ হাজারের উপরে মানুষের বসবাস।

স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, চাকুরিজীবী,ব্যবসায়ী, পথচারী মিলে প্রতিদিনই প্রায় হাজার মানুষের চলাচল। গ্রামের চার পাশেই কাচাঁ রাস্তা। বাসারা হাসপাতালের সামনে ব্রিজ থেকে তেলিসাইর পূর্ব মাথা লক্ষীপুর গ্রামের সীমানা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলো ও গ্রামের মধ্যবর্তী মহসিনের দোকান হইতে সোনাচোঁ আলমদিনা বাজার পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলো কাচাঁ রাস্তায় স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছরেও একটি ইটের কণা পড়েনি।

তেলিসাইর গ্রামের আ.রহমান, আনারউল্লাহ বেপারী, হারুন, তাফাজ্জল পাটওয়ারী বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এমনকি আমাদের এলাকায় ১৪ বছর একজন চেয়ারম্যান থাকার পরেও রাস্তা ঘাটের কোন উন্নয়নের চোঁয়া দেখা যায়নি।
প্রতিনিহিত এলাকার প্রায় ৪শ’ শিক্ষার্থী ও ১০ হাজার জনসাধারণেরর চলাচলের পথে দূর্ভোগ প্রহাতে হচ্ছে।

এলাকার মাছের খামার, হাঁস- মরগির খামার,গরুর খামারীদের মালামাল সরবরাহের সুযোগ পাচ্ছে না এই কাচা রাস্তার কারনে। এই রাস্তায় পিকআপ ভ্যান ও রিক্সা চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে বছরের পর বছর ধরে। বর্ষার সময় বৃষ্টিতে কাচা রাস্তায় একেবারে চলাচলে নাকাল অবস্থায় পড়তে হয়।

গত বছরেও এলাকার প্রবাসী মনির হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা আ. মমিন মিজি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেনসহ স্থানীয় যুবকদের সহযোগিতায় রাস্তার ছোট বড় গর্ত ও দুই পাশের ভাংগা অংশে ইটের রাবিশ পেলে মানুষের চলাচলের জন্য কিছুটা দূর্ভোগ লাগবের চেষ্টা করেছে বলে জানা যায়।

তাদের সাথে যোগ হয়ে গ্রামের সামু মেম্বারের ছেলে মাহবুবসহ এলাকার আজাদ, শরিফ, তাফাজ্জল পাটওয়ারী, আমিন মিয়া বলেন, শুনেছি বর্তমান সাংসদের কাছ থেকে রাস্তা সংস্কারের নামে প্রায় লক্ষাধিক টাকার থোক বরাদ্দ আনেন তেলিসাইর গ্রামের এডভোকেট কামরুল ইসলাম রোমান। কিন্তু কোথায় একটা ইট পড়তে দেখা যায়নি। বর্তমান সময়ে যেসব স্থানে বড় বড় গর্ত সেই স্থানে ইটের গুড়া পেলে অন্তত জনসাধারণের চলাচলের পথ স্বাভাবিক করতে আমরা জোরদাবি জানাই।

উক্ত ইউনিয়নের এমপির প্রতিনিধি জানিবুল হক জুয়েল বলেন, আমার জানামতে এই রাস্তার জন্য এমপি মহোদয় একটি থোক বরাদ্দ দিয়েছেন কিন্তু কাজ না হওয়াটা দুঃখজনক।

এডভোকেট কামরুল ইসলাম রোমান বলেন, আমি কয়েক বার তেলিসাইর নিজ গ্রামের রাস্তার জন্য স্থানীয় সাংসদ সাংবাদিক শফিকুর রহমানের দ্বারস্থ হয়েছি। ইতিমধ্যে এক কিলো রাস্তার প্রস্তাবনা রয়েছে। তবে কোন থোক বরাদ্দ পায়নি বলে দাবি করেন তিনি।

উপজেলা পৌকশলী জিয়াউল হক বলেন, এ ধরনের বরাদ্দের ক্ষেত্রে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তবে এমপি মহোদয় ইতিমধ্যে নতুন কয়েকটি রাস্তার প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তার মধ্যে এই রাস্তার আংশিক অংশ গুরুত্ব পাবে বলে আসা করছি।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,৩ জুলাই ২০২০

Share