স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আদশা গ্রামের ডোবা থেকে মা ফাতেমা (২০) ও শিশু ফুয়াদ (১) এবং উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের সেকদী গ্রাম থেকে হোটেল কর্মচারী বশিরের ছেলে শাহ আলম (১৪) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
রোববার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় মা ও শিশু এবং ৪টার দিকে হোটেল কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, ‘নিহত ফাতেমা পার্শ্ববর্তী রামগঞ্জ উপজেলার আবদুল গফুরের মেয়ে। শনিবার দিবাগত রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার আদশা গ্রামের স্বামীর বাড়িতে আসে। স্বামী মো. রাসেলও একই রাতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। রোববার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে লাশ ডোবায় ভেসে রয়েছে বলে থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল ঘটনাস্থল থেকে মা ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে।’
এদিকে নিহত ফাতেমার ভাই মনির হোসেন জানান, তার বোন ফাতেমা ও ভাগ্নে ফুয়াদকে হত্যা করেছে তার স্বামী ঘাতক রাসেল। এই ঘটনার পর সে পলাতক রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন জানান, ‘ফাতেমা ও শিশু ফুয়াদের লাশ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ফাতেমার বাবা আবদুল গফুর ও রামগঞ্জ থেকে আসা তার স্বজনরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে রাসেলের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের জন্যে উপস্থিত হলে বিক্ষুদ্ধ লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়।’
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার ৩টি নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ‘ফাতেমার স্বামীর বাড়িতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
আপডেট: বাংলাদেশ সময় ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, ২১ জুন ২০১৫, রোববার
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস ডট কম-এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।