Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে ব্যবসায়িক অন্তকোন্দল, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা
Faridganj-ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে ব্যবসায়িক অন্তকোন্দল, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ব্যবসায়ীক অন্তকোন্দলের জেরে মিথ্যা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের খেজুর তলা এলাকায় জলিল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল জলিল দীর্ঘদিন ধরে রড, সিমেন্টর ব্যবসা করে আসছে। শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা জলিলকে অনেকবার শাহ্ সিমেন্ট বিক্রয় করার প্রস্তাব দিলেও তিনি শাহ্ সিমেন্ট বিক্রি করবেনা বলে জানায়।

পরে একই এলাকার শুভ, শান্ত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জহিরুল ইসলাম শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শাহ্ সিমেন্ট বিক্রয় শুরু করে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর আ. জলিল একই উপজেলার আষ্টা বাজারের মনির এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনির পাটওয়ারীর কাছে থেকে এক ট্রাক শাহ্ সিমেন্ট খেজুরতলা এলাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। এ সময় শাহ্ সিমেন্ট বিক্রয় করায় শুভ, শান্ত এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী জহিরুল ইসলামের সাথে আব্দুল জলিলের ভাই আব্দুল মতিনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় বলে স্থানীয়রা জানান।  

হামলার বিষয়ে ট্রাক চালক মঞ্জু জানান, আমরা সিমেন্ট নিয়ে খেজুরতলায় গেলে জলিল ভাইয়ের আব্দুল মতিন আমাদের নিয়ে সিমেন্ট গ্রাহকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিমধ্যে জহির নামে একজন গাড়ির গতি রোধ করে সিমেন্ট কার এবং কোথা থেকে আসছে আমাদের কাছে জানতে চায়। এরপর মতিন ও জহিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এইরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আব্দুল মমিন জানান, আমিসহ শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানীর লোকজন অনেকবার জলিল ভাইকে শাহ্ সিমেন্ট বিক্রয় করার জন্য প্রস্তাব দিলেও তিনি শাহ্ সিমেন্ট বিক্রি করবেনা বলে জানায়। পরে একই এলাকার শুভ, শান্ত এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জহিরুল ইসলাম নিজেই আমাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শাহ্ সিমেন্ট বিক্রয় শুরু করে। কিন্তু জলিল এন্টার প্রাইজ একই উপজেলার আষ্টা বাজারে মনির এন্টার প্রাইজের কাছ থেকে এক ট্রাক শাহ্ সিমেন্ট খেজুরতলা এলাকায় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসলে জলিলের ভাইয়ের সাথে  কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে জেনেছি।

তিনি আরো জানান, আ. জলিল যেই অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। ওই সময় কোন ধরনের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। আমি ড্রাইভার ও গাড়ির মালিকের সাথে কথা বলেছি। তিনি আরো জানান, জলিল ও জহিরের সাথে ব্যবসায়ীক দ্বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে আ. জলিল জানান, আষ্টা বাজারের মনির এন্টার প্রাইজের কাছ থেকে আমি এক গাড়ী শাহ্ সিমেন্ট কিনে গ্রাহকের বাড়িতে পাঠানোর প্রতিমধ্যে জহিরুল ইসলাম গাড়ির গতিরোধ করে আমার ভাই আব্দুল মতিনকে মারধর করে এবং টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জহিরুল ইসলাম জানান, খেজুর তলা এলাকায় আমিই একক ভাবে শাহ্ সিমেন্ট বিক্রয় করি। শাহ্ সিমেন্টের গাড়ি দেখে আমি গাড়ি দাঁড় করিয়ে চালককে জিজ্ঞেস করি এই সিমেন্ট কার। প্রতিমধ্যে গাড়ী দাঁড় করায় জলিলের ভাই মতিন এসে আমাকে গালমন্দ করে। পরে আমার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। তবে কোন ধরনের মারামারি হয়নি এবং টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এস.আই মো. সেলিম মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, তাদের উভয়ের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে বাকবিতন্ডা হয়েছে। তবে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার কোন সত্যতা পাইনি ।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২