চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে বালিথুবা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে অভিনব কায়দায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাড়ির গৃহস্থকে হাত-পা বেধে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ২নং বালিথুব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের শহিদউল্যাহ ফরাজি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বর্তমানে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত শহিদউল্যাহ ফরাজি চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘বাড়িতে তিনি এবং তার অসুস্থ্ স্ত্রী থাকেন। আর বাকি ছেলে-সন্তানরা বিদেশে চাকরি এবং ঢাকায় পড়ালেখা করছেন। তার শ্যালক সৌদি আরব থেকে তার একাউন্টে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে। তিনি অগ্রণী ব্যাংক চান্দ্রা বাজার শাখা থেকে বৃস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) টাকাগুলো উত্তোলন করে ঘরে রেখেছিলেন।
ঘটনার দিন রাত ১১টার সময় তিনি প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ গোয়াল ঘর থেকে গরুর ডাক ও কিছু একটা আওয়াজ পেয়ে বাইরে যান। বাহিরে গিয়ে গোয়াল ঘরের লাইট জ্বালাতে চাইলে দেখেন সেটি জ্বলছে না। তিনি ধারণা করেন লাইট নষ্ট হয়ে গেছে। এই সুযোগেই ডাকাত দল ঘরের ভেতরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। পরে শহিদউল্যাহ ফরাজি ঘরে ঢুকে দরোজা আটকিয়ে ঘুমিয়ে পরেন।
তিনি জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হাপ প্যান্ট পরিহিত তিন যুবক তার মুখ চেপে ধরে নিজের ব্যাবহৃত গামছা দিয়ে হাত-পা বেধে ফেলে। এসময় তার অসুস্থ্ স্ত্রী চোখ মেলে তাকালে বটি দা দিয়ে তাকে খুন করে ফেলার ভয় দেখানো হয়।
এরপর ডাকাতদল ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র উলট-পালট করে আলমারিতে রাখা নগদ ১লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং তিন ভরি ওজনের ৩ জোড়া কানের দুল, ২টি রুলি ও ৩টি স্বর্ণের নাকফুল নিয়ে যায়।
এরপর ডাকাতদল চলে গেলে তার চিৎকারে পাশের ঘর থেকে ছোট ভাই জুলফিকার এসে তার হাত পায়ের বাধন খুলে। ততক্ষণে ডাকাতদল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত শহিদউল্যাহ ফরাজির ছোট ছেলে মোর্শেদ চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, আমি ঢাকায় লেখাপড়া করি। আমার বড় ভাই বিদেশে থাকেন। বাড়িতে শুধুমাত্র বাবা আর অসুস্থ্ মা থাকেন।ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে সকালে আমি বাড়ি এসেছি।
সে আরো জানায়, ঘটনাটি স্থানীয় মেম্বার এবং চেয়ারম্যানকে জানানো হবে।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, এর দুই মাস আগেও ওই গ্রামের ধোপা বাড়ি, কাজী বাড়িসহ একাধিক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এক রাতে ৩টি ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে জানান।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম
১৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৯