করোনার প্রাদুর্ভাবে পুরো পৃথিবী থমকে রয়েছে। ফরিদগঞ্জে বাজার মনিটরিংয়ে প্রশাসন তৎপর থাকা সত্তে¡ও নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম কৃত্তিম ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন মানুষ দিশেহারা, প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে তীব্র সমালোচনা।
সরজমিনে বাজার গুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রীর দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছেনা। উপজেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ফরিদগঞ্জ বাজারসহ গৃদকালিন্দিয়া, রুপসা, চান্দ্রা, গাজীপুর, মুন্সিরহাট সহ সকল বাজার গুলোতেই ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দ্বিগুন দামে বিক্রয় করে আসছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে ব্যবসায়ীদের এহেন কার্যকলাপ জনমনে তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে। বাজারে প্রতিবস্তা চালের মূল্য ৬শ থেকে ১ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ২০-২৫, আলু ৮-১০, রসুন ২৫-৩৫, মশুর ডাল ৩০-৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও ছোলা, খেসারীর ডাল, আঁধা, সয়াবিন তৈল, মুড়িসহ প্রায় সকল নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানায়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিপুল পরিমান খাদ্য মজুদের ঘোষনা আসলেও বাজার ঘুরে আসার পর তার কোন মিল পাওয়া যায়নি।
বাজারে একজন ক্রেতা বলেন, একেত করোনা ভাইরাসের কারনে আমরা যারা খেটে খাওয়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছিনা, আমাদের কোন ধরনের আয় রোজকার নেই। তার মধ্যে কয়েক দিন পরই মাহে রমজান, যেই ভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বেড়েছে, আমরা গরীবরা না খেয়ে মরতে হবে।
ব্যবসায়ী এহেন খামখেয়ালী, প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় সরকারের অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
নিত্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধির কারন সম্পর্কে মেসার্স মাষ্টার ট্রেডার্স এর সত্ত¡াধীকারী কবির হোসেন বলেন, আড়ৎদাররা চাল, ডালসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম বেশি রাখায় আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।
পেয়াজের আড়ৎ বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স এর ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৩৫ টাকায়, আর এখন বিক্রি করছি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, কি কারনে দাম বেড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বেশি দামে ক্রয় করায়, দাম বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মেসার্স সাজ্জাদ ষ্টোরের সত্ত¡াধিকারী বেলায়েত হোসেনের কাছে দাম বৃদ্ধির কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন কারন নেই, মালের কোন সংকট নেই, পরিবহনের কোন সমস্যা নেই। আমরা বেশি দামে ক্রয় করায়, বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা র্নিবাহী অফিসার শিউলী হরি বলেন, কি কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বেড়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি এবং ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে বলতে পারবো। যদি কেউ অহেতুক দাম বাড়িয়ে থাকে তাদের বিরুদ্বে আইননুগ ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,১৯ এপ্রিল ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur