Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ : দু’পক্ষের উত্তেজনা
ফরিদগঞ্জে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ : দু’পক্ষের উত্তেজনা

ফরিদগঞ্জে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ : দু’পক্ষের উত্তেজনা

মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারি ছিলো আওয়ামী লীগের ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’। ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও নব নির্বাচিত পৌর মেয়র মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে পৃথক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষাদিবস পালিত হয়।

এই উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আ‘লীগের স্থানীয় সাংসদ ও নব নির্বাচিত মেয়র মাহফুজুল হক পৌর শহরে বিশাল র‌্যালী ও সমাবেশ করে।

একই সময়ে আ‘লীগের দু‘গ্রুফের কর্মসূচিতে হাজারো নেতাকর্মীর উস্থিতি দু‘পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস পালনের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার আ‘লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জড়ো হয়।

অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মো. জাহিদুল ইসলাম ও নবনির্বাচিত মেয়র মো. মাহফুজুল হক সমর্থিত নেতাকর্মীরা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকে।

১২টার সময় প্রাণী সম্পদ অফিসের সামনে থেকে নব নির্বাচিত মেয়র মো: মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে র‌্যালী বের হয়ে ফরিদগঞ্জ মধ্য বাজার, কালির বাজার, চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড, টিএন্ডটি মোড় হয়ে প্রাণী সম্পদ অফিসের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।

অপরদিকে উপজেলা আ‘লীগ আয়োজিত র‌্যালীটি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে পূর্বের মিছিলটি যাওয়ার ৫ মিনিট পরে বের হয়ে মধ্য বাজার, কালিরবাজার চৌরাস্তা মোড়, বাসস্ট্যান্ড থেকে লিংক রোড দিয়ে উপজেলা পরিষদের দিকে যাচ্ছিল।

নব নির্বাচিত মেয়র মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে র‌্যালীটি ফিসারি অফিসের সামনে থেকে অনিক ফার্মেসীর সামনে আসা মাত্র লিংক রোড দিয়ে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া এমপির নেতৃত্বে আসা র‌্যালীটি বাজাররের দিকে যায়।

দুই পক্ষের অবস্থানের দূরুত্ব ২৫ মিটারেরও কম ছিলো। পুলিশ প্রাণী সম্পদ অফিসের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেয়। অপরদিক মেয়র মাহফুজুল হক ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তার উত্তেজিত কর্মী সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এসময় হঠাৎ আসে পাশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও মেয়র মাহফুজুল হকের চেষ্টায় কোন ধরনের সংঘর্ষ ছাড়াই উপজেলা আ‘লীগের র‌্যালীটি উপজেলা পরিষদে চলে যায়।

ফরিদগঞ্জ সংঘর্ষ

অপরদিকে মেয়র মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে আসা র‌্যালীটি প্রাণী সম্পদ অফিসের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।

উপজেলা আ‘লীগ আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ‘লীগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া এমপি, উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল বাশার কালু পাটওয়ারী, উপজেলা আ‘লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল আমিন কাজল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান রানা, যুগ্ম-সম্পাদক আলমগীর হোসেন স্বপন, আরিফুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মশিউর রহমান মিটু, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন রতন, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন তালুকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন মিঠু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, পৌল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম সাউদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন হাজারী প্রমুখ।

অপরদিকে পৌরসভার নর্ব নির্বাচিত মেয়র মো: মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে র‌্যালী ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত মেয়র মাহফুজুল হকের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাও. শহীদুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, মুকবুল, নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মহিসন তালুকদার, আব্দুল মান্নান পরান, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম রিপন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মনির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মো: মাসুদ আলম আয়াত, সদস্য পাবেল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাজ্জাদ, কাইয়ুম। এছাড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসে বিএনপি ফরিদগঞ্জ বাজারে মিছিল সমাবেশ নিয়ে প্রবেশের ত্রি-মুখী পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপির সাথে আ‘লী-পুলিশের ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। কিন্তু এবার আ‘লীগের দুগ্রুপের কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিএনপির কোনো কর্মসূচিই ছিলো না। মূলত পৌরসভা নির্বাচনের পর আ‘লীগের মধ্যে এই চাপা উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

সানাউল হক, ফরিদগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট

 

|| আপডেট: ১০:১১ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার

এমআরআর