Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে আদালতের মামলা উপেক্ষা করে স্থাপনা নির্মাণ
আদালতের

ফরিদগঞ্জে আদালতের মামলা উপেক্ষা করে স্থাপনা নির্মাণ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আদালতে চলমান মামলা থাকা সত্ত্বেও সে মামলা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ওই উপজেলার ২ নং বালিথুবা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ সরখাল গ্রামের ক্বারী সাহেবের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় ওই বাড়িতে দুই পক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

ওই বাড়ির মৃত আলী আকবর ক্বারীর ছেলে মোঃ আবু হানিফ ক্বারী জানান, একই বাড়ির মৃত হানিফ ডাকাতের কন্যা কুলসুমা বেগম গংদের সাথে বাড়ির ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তিনি জানান, বিরোধকৃত ওই ১৫ শতাংশ জমির পৈত্রিকসূত্রে মালিক তার জেটা আলী এরশাদ ক্বারী এবং তার পিতা মৃত আলী আকবর ক্বারী গংরা। কিন্তু কুলসুমা বেগম ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা দাবি করে গত প্রায় তিন মাস পূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে একটি বিএস মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখনো বর্তমানে চলমান রয়েছে।

আবু হানিফ গংদের অভিযোগ ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিকানা দাবি করা কুলসুমা বেগম স্থানীয় এলাকার নূর মোহাম্মদ খানের ছেলে বখাটে ও প্রভাবশালী শিপন খানের যুক্তি পরামর্শ এবং তারই ছত্রছায়ায় আদালতের চলমান মামলাকে উপেক্ষা করে ওই জমিতে গত বুধবার সকালে একটি ঘর নির্মাণ করার প্রস্তুতি নেন। এ সময় তাদেরকে বাঁধা দিলেও তারা প্রভাব খাটিয়ে সেখানে একটি ঘর নির্মাণ করেন। তার পরের দিন এ নিয়ে আমাদের মাঝে ঝগড়াঝাঁটি হলে একইভাবে শিপন খানের নির্দেশে তারা সেখানে তারা ঘরটির নির্মাণ কাজ সম্পর্ন করেন। ঘরটি নির্মাণ কাজে আমি বাধা দিলে প্রভাবশালী শিপন খান আমাকে মারধর করেন এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।

স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে অভিযুক্ত কুলসুমা বেগম জানান, এটি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। আমার সকল কাগজপত্র রয়েছে। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর এটি দীর্ঘদিন বেদখল ছিলো। এখন আমি আমার জমিতে ঘর নির্মাণ করতেছি ‌।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আলী হারিছ মিয়াজী জানান, উক্ত বিষয়টি আমি জেনেছি পরে উভয় পক্ষকে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর স্থাপনা নির্মাণ করার অনুরোধ করেছি। যেহেতু আদালতে জায়গাটির বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে সেহেতু জোর করে ঘর নির্মাণ করা ঠিক নয়। উভয়পক্ষের আদালতের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ এইচ এম হারুনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, যেহেতু এই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে তাই উভয় পক্ষই সহনশীল হতে হবে,কোন অবস্থাতেই এই স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি,২৫ নভেম্বর ২০২১