Home / বিশেষ সংবাদ / প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা : অত:পর হৃদরোগে প্রেমিকের মৃত্যু
প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা : অত:পর হৃদরোগে প্রেমিকের মৃত্যু

প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা : অত:পর হৃদরোগে প্রেমিকের মৃত্যু

চাঁদপুর টাইমস, কুড়িগ্রাম:

রুণী প্রেমিকার বিয়ের খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে প্রেমিক। এরপর সুযোগ বুঝে ঢুকে পড়ে প্রেমিকার বাড়িতে। কৌশলে তরুণীকে নিয়ে যায় রান্না ঘরে। সেখানে সহযোগীদের নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে গলা কেটে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়ে। কিন্তু পালানো হয় না বেশি দূর। পথিমধ্যেই হার্ট অ্যাটকে মারা যায় ঘাতক প্রেমিক।

রোববার বিকেলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রৌমারী থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করেছে।

নিহত প্রেমিকার নাম আর্জিনা (১৭)। সে রৌমারী উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের মৃত আব্দুল হাই আকন্দের মেয়ে। এ বছর সে এসএসসি পাস করেছে। আর ঘাতক প্রেমিকের নাম আইয়ুব আলী (২২)। তিনি রৌমারী উপজেলার চেংটাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত প্রায় পাঁচ বছর আগে থেকে আর্জিনাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় আইয়ুব আলী। কিন্তু আর্জিনা নিরব থাকে। কয়েকদিন আগে আর্জিনার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। এ খবর শোনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আইয়ুব আলী। সুযোগ বুঝে রোববার বিকেলে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে দুজন বন্ধুকে নিয়ে আর্জিনার সঙ্গে দেখা করতে যান। ঘটনার সময় আর্জিনাকে তাদের রান্নাঘরে ডেকে নিয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে।

আর্জিনাকে হত্যার পর পালানোর চেষ্টা করে আইয়ুব ও তার সহযোগীরা। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারে না। পথিমধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায় আইয়ুব।

এদিকে, আর্জিনার মা সাজেদা বেগম বাড়িতে ফিরে মেয়েকে রান্না ঘরে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। এরপর খবর পায় পুলিশ। পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম পাঠায়। এর আগেই হত্যা ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরিবারের অভিযোগ, আইয়ুব জোর করে আর্জিনার সঙ্গে প্রেম করতে চেয়েছিল। কিন্তু অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে আর্জিনাকে গলা কেটে হত্যা করেছে।

আর্জিনার মা সাজেদা বেগম অভিযোগ করেন, ‘আইয়ুব আলী মেল্যা দিন থেইক্যা আমার মাইয়াকে বিরক্ত করে আসছিল। আর এ কারনে মাইয়ার বিয়া দিবার চাইছিলাম। কিন্তু শয়তানরা তাকে বাঁচতে দিল না। আমি খুনীদের ফাঁসি চাই’।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন ধারনা করছেন মেয়েটিকে তার প্রেমিক ও সহযোগীরা হত্যা করেছে। নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডে তিনজন সরাসরি জড়িত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।