প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষকের প্রয়োজন: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

প্রতিযোগীতা মূলক বিশ্বে টিকে থাকতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তবে সেই শিক্ষা গতানুগতিক শিক্ষা হলে চলবে না, শিক্ষা হতে হবে যুগোপযোগী শিক্ষা। মানসম্মত বা যুগোপযোগী প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষকের প্রয়োজন এবং সরকার সেই কাজই করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মতলব উত্তর উপজেলার সভাকক্ষে উপজেলার ১৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার স্বচ্ছ ও সুন্দর প্রক্রিয়ায় মেধাবীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন। একসময়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ করে তোলা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ হানিফ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহেরী ইয়াছমিন, চাঁদপুর জেলা আোয়ামীরীগের সহ-সভাপতি মনজুর আহমেদ, ছেংগারচর পৌর মেয়র আলহাজ্ব আরিফ উল্যাহ সরকার,এএসপি কচুয়া সার্কেল আবুল কালাম আজাদ,মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন,ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্লা প্রধান, ছেংগারচর পৌর কাউন্সিলর আমান উল্যাহ, সাংবাদিক ফারুক হোসেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক শাহজাহান, লুৎফুর রহমান ভাসানী, আব্দুল বাতেন প্রধান, সুখরঞ্জন বিশ্বাস, সালমা পারভীন, আনোয়ারা আক্তার, মাহমুদা আক্তার, রহমত উল্যাহ চৌধুরী, এনায়েত উল্যাহ।

শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, চরের শিক্ষকদের জন্য চর ভাতার দাবী, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝুুঁকিপূর্ণ, শিক্ষা অফিসে লোকবল সংকট, সহকারী শিক্ষকদের থেকে পদোন্নতি প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুযোগ দেয়ার প্রয়োজন, শ্রেণিকক্ষের সংকট, অফিস সহকারী নিয়োগ দিলে শিক্ষকদের পাঠদান কার্যক্রম সহজ হতো, দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে যুদ্ধ বিধবস্ত দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মাধ্যমে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুমসহ আধুনিকায়নের সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে; যা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Share