প্রাইভেটকারে মদের বোতল, লাশ ছিনিয়ে নিতে হামলায় পুলিশসহ আহত ২০

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মরদেহের ময়নাতদন্তকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। স্বজন ও সতীর্থরা নিহতদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যার আগে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থলে যান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকারে মদের বোতল পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, আরোহীরা হয়তো মদ্যপ ছিল। যে কারণে বেপরোয়া গতিতে প্রাইভেটকার চালিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হন।

এ ঘটনার পর চিতোষী-হাসনাবাদ সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিতোষী-চাটখিল সড়কে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে গেলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার শাহপরান তুষার (২২), শাকিল হোসেন (২৬) ও রেজাউল (২৪) এবং যশোর জেলার শার্শা থানার নয়ন (২৫) ও গাজীপুর সদরের উত্তর খাইলপুর গ্রামের সাগর হোসেন (২৪) নিহত হন।

প্রথম তিনজন জেলা এবং পরের দুজন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা।

আরও পড়ুন… শাহরাস্তিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে প্রাইভেটকার, চালকসহ নিহত ৫

স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনায় মনোহরগঞ্জের তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করতে প্রশাসনের কাছে যান স্বজনরা। তবে এতে তাঁরা ব্যর্থ হন। পরে বিকেলে উঘারিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে নিহতদের মরদেহ শাহরাস্তি থানায় নেওয়ার পথে নিহতদের স্বজনরা বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে মরদেহ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ তিনজনের মরদেহ নিয়ে থানায় চলে আসে। এ সময় পুলিশসহ অনেকে আহত হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা বেশ কিছু দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাত ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি। সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শাহরাস্তি প্রতিনিধি

Share