Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরের প্রবাসীর কাছে পাঠানো মায়ের ‘ভালোবাসার প্যাকেট’ ও কিছু কথা…
Probash screenshot..

চাঁদপুরের প্রবাসীর কাছে পাঠানো মায়ের ‘ভালোবাসার প্যাকেট’ ও কিছু কথা…

গানের ভাষায় ‘কতোদিন দেহিনা মায়ের মুখ, হুনিনা সেই কোকিল নামের কালা পাহির গান, হায়রে পরান, হায়রে পরান…..। দুর প্রবাসী থাকি মাগো বড় একা একা স্বপ্নে ছাড়া যায়না মাগো একটু তোমায় দেখা, পড়েছো মা ছিন্ন শাড়ী, আমি কি তাই দেখতে পারি বিদেশ এলাম তাই, দুখী মায়ের মুখে সুখের হাসি ফোটাতে যে চাই।’

শিল্পীর গাওয়া গানের কথার মতোই, সন্তানের প্রতি নাড়ির যে টান সে টানেই এক প্রবাসী সন্তানের কাছে তার মমতাময়ী মা গভীর ভালোবাসা মোড়ানো মায়ার বাঁধন প্যাকেট করে পাঠালেন প্রবাসী সন্তানের কাছে। আর সে ভালোবাসার ছবিটুকো ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

ফেসবুক সূত্রে জানা যায় আবু তাহের মিয়াজী নামের এক কাতার প্রবাসী তার ফেসবুক আইডিতে গ্রাম থেকে পাঠানো মায়ের দেয়া বিভিন্ন জিনিসপত্রের প্যাকেটের ছবি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন-

‘আজকের রহস্য! আমার মায়ের ভালোবাসা মিশানো মায়ার বাঁধনটা প্যাকেট করে উনার চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম (সোহাগ)’র কাছে দিয়েছেন কাতার এনে বড়ছেলে আর ছোট ছেলেকে দিতে।

প্যাকেটে ছিল, নিজ গাছের কাঁঠাল, নারিকেল, আম, আমের মিষ্টি আচার, চাল ভাজা! যা খেতে তিনি খুব পছন্দ করেন।

আবু তাহের মিয়াজী আরো লিখেন, ‘আমি যা খেতে পছন্দ করি মা এখনো তা মনে রেখেছেন। আর দিয়েছেন মাসকলাই ডাল গুড়ো করে। যা ধনিয়াপাতা দিয়ে রান্না করলে আহ! গড় গড় করে খাওয়া যায়!

তবে কথা হল আমার কাতার প্রবাস জীবন চলছে প্রায় ১৯ বছর,এরমধ্য এই প্রথমবার আমাদের নিজ গাছের কাঁঠাল খেলাম প্রবাসে বসে। আলহামদুলিল্লাহ সেজন্য আজ আনন্দটা একটু বেশি…।’

জানা যায়, কাতার প্রবাসী আবু তাহের মিয়াজীর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরের কামরাঙ্গা গ্রামে তার বাড়ি। পিতা মোঃ লোকমান মিয়াজী, মাতা মোসাম্মৎ ছায়েরা বেগম।

জীবনের তাগিদে তিনি প্রায় ১৯ বছর ধরে কাতারে অবস্থান করছেন। সন্তানের প্রতি তার মায়ের এ ভালোবাসা সত্যিই হৃদয় মুগ্ধ করার মতো। যা দেখে একজন সন্তানের প্রতি মায়ের মমত্ববোধ ও সীমাহীন ভালোবাসার কথা ফুটে উঠে।

শুধু কাতার প্রবাসী আবু তাহের মিয়াজী নন, এরকম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরো অনেক প্রবাসী রয়েছেন যে, দেশের গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের মায়েরা একই ভাবে সন্তানদের প্রতি ভালোবাসায় মোড়ানো মায়ার প্যাকেটজাত করে বিদেশে পাঠিয়ে দেন।

আসলে মায়েদের ভালোবাসার কোনো তুলনা হয়না। তাইতে মায়েদের প্রতি গভীর ভালোবাসায় শিল্পীর কন্ঠে শোভা পেয়েছে, ‘মায়ের মতো আপন কেহ নাই যে দুনিয়ায়।’

অন্য এক গানের কথায়, ‘মাগো তোমার লয়না কেহ আমায় বুকে টানি, আঁচল দিয়া মুছেনা কেহ, আমার চোখের পানি, হায়রে মা জননী, আমার হায়রে মা জননী। পৃথিবীতে এভাবেই যুগ যুগ ধরে সন্তানদের প্রতি মায়েদের পরম মমতায় জড়ানো ভালোবাসা বেঁচে থাকবে।’

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি

Leave a Reply