Home / জাতীয় / প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় চান নতুন জোট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় চান নতুন জোট
গ্লোবাল সামিট অব উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় চান নতুন জোট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতা কাজে লাগাতে এবং তাদের সহযোগিতা ও অধিকার তুলে ধরতে একটি নতুন বৈশ্বিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য গ্লোবাল সামিট অব উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের সময় তিনি শুক্রবার এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীদের সহযোগিতা ও তাদের অধিকার তুলে ধরতে আমাদের একটি নতুন জোট গঠন করতে হবে। লাখ লাখ নারীর স্বার্থে আমরা অবশ্যই আমাদের অভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ নিয়ে একত্রে কাজ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ‘গ্লোবাল উইমেন সামিট’-এর প্রেসিডেন্ট আইরিন নাতিভিদাদের কাছ থেকে মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে এক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে মর্যাদাপূর্ণ এ সম্মাননা গ্রহণ করেন। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসি) অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্লোবাল সামিট অব উইমেনের প্রেসিডেন্ট আইরিন নাতিভিদাদ। এ সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় দেড় হাজার নারী নেতৃত্ব যোগদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার গ্রহণকালে নারী নেতৃবৃন্দ বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে তাঁকে অভিনন্দন জানান।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব উইমেন বাংলাদেশে নারীশিক্ষা ও উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের জন্য শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করে।

এর আগে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ গ্রহণ করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গভীর সম্মানিত বোধ করছি এবং এই উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড বিশ্বের নারীদের উৎসর্গ করছি—যাঁরা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী চেঞ্জ মেকারদের দেখতে পাওয়া আমার জন্য বিশাল আনন্দের বিষয়।’ মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারের জন্য তাঁকে মনোনীত করায় তিনি গ্লোবাল সামিট উইমেন কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি সবাইকে প্রান্তিক, দুস্থ, যারা অনাহারী এবং স্কুলে যেতে অনাগ্রহী ও নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে গতানুগতিক লিঙ্গবৈষম্য থেকে ফিরে এসে নারীর সক্ষমতা বাড়াতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, কোনো মেয়ে ও নারী পিছিয়ে থাকবে না। তিনি বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যা দূরীকরণসহ উৎপাদনশীলতা জোরদার করার আহ্বান জানান।

বাসস

Leave a Reply