Home / জাতীয় / এরশাদ পৌর নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না
এরশাদ পৌর নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না

এরশাদ পৌর নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না

সারা দেশের মেয়র প্রার্থীদের ঢাকায় এনে ঘটা করে মেয়র পদে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু দুই দিনেও সব মিলিয়ে ৬৬ জনের বেশি মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বর্তমান সংসদের এই বিরোধী দল।

জাপা সূত্রে জানা গেছে, ২৯ নভেম্বর রবিবার সকালে বনানীর জাপা অফিসে লাঙ্গল প্রতীকে মেয়রে লড়তে আগ্রহীদের ডেকেছিলেন এরশাদ। উপস্থিতিও ছিল ভাল। কিন্তু তাদের মধ্যে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ তেমন ছিল না। সব মিলিয়ে মাত্র ৬১ জন মনোনয়ন পান। অন্যদিকে সোমবার মাত্র তিনজন লাঙ্গল প্রতীকের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘আসলে আমাদের দলে প্রার্থী সঙ্কট নেই। যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের আমরা মেয়র পদে মনোনয়ন দিচ্ছি। এ জন্য গতকাল (রবিবার) ৬১ জন ও আজকে (সোমবার) তিনজনকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দিয়েছি।’

জাপার মহাসচিব আরও বলেন, ‘ঢাকার বাইরে থেকে অনেকে আসেননি, অনেকে এসেছিলেন। তাই পরে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সারা দেশের ২৩৬টি পৌরসভাতে মেয়র পদে এককভাবে লাঙ্গল প্রতীকে কেউ নির্বাচনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। জাপার প্রার্থীদের ধারণা, নৌকা ও ধানের শীষের বিপরীতে লাঙ্গল প্রতীকে জয়ী হয়ে আসাটা খুব কঠিন হবে।

জাপার দু’জন মেয়র প্রার্থী সোমবার জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির সমঝোতা হলে ভাল হতো। বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তাই নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তো তাদেরই (বিএনপির) জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর যদি আওয়ামী লীগ সব মেয়র প্রার্থী নিয়ে নেয় তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু প্রমাণের জন্য কিছু জায়গায় তো জাপার প্রার্থীদের মেয়র হওয়ার সুযোগ ছিল।

তারা আরও জানান, নির্বাচনের যেহেতু এখনো ৩০ দিন বাকি আছে। তাই সরকারের সঙ্গে তারা সমঝোতার সম্ভাবনা এখনো দেখছেন। প্রার্থীদের দাবি, আওয়ামী লীগের বিপদে এরশাদ ও জাতীয় পার্টি পাশে ছিল। তাই শেষ মুহূর্তে হলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে।

জাতীয় পার্টি থেকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে মনোনয়ন-প্রত্যাশী সাবেক মেয়র শফিক পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় পার্টি মহাজোটে আছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটা সমঝোতা হওয়া উচিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও জাপা এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। তাই সমঝোতা না হলে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কী লাভ।’

শফিক পাটোয়ারী আরও বলেন, ‘দেখা যাবে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সব নিয়ে নেবে। এ জন্য ভাবছি নির্বাচনে যাব না। সমঝোতা হলে ভাল হতো।’

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা আর কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করব না। আমরা এককভাবেই নির্বাচনে অংশ নেব। আমরা বিশ্বাস করি, এই সরকারের ওপর দেশের জনগণ বিরক্ত। বিএনপির প্রতিও মানুষের আস্থা নেই। মানুষ বিকল্প খুঁজছে। আর জনগণের সেই বিকল্প হচ্ছে লাঙ্গল।’

প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সারা দেশের ৪৬২টি উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মাত্র দু’জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়া গত ২০১৪ সালের এপ্রিলের ৩ সিটি নির্বাচনও ভরাডুবি হয়েছে জাপা সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, উত্তরে মহানগর উত্তর জাপার সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল সর্বনিম্ন ভোট পেয়েছেন।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৪:০৭ পিএম,০১ ডিসেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার

এমআরআর