Home / স্বাস্থ্য / যে ৬ টি কারণে পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
যে ৬ টি কারণে পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

যে ৬ টি কারণে পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

আজকাল অনেকেই ফ্যাশন করে দাড়ি রাখেন। নিজের ইচ্ছামতো স্টাইল করে ফ্যাশনেবল লুকে আসতে মুখের সাথে মানানসই দাড়ি রাখা সব চাইতে ভালো আইডিয়া।

কিন্তু আপনি জানেন কি, দাড়ি রাখা শুধু মাত্র ফ্যাশনের সাথে যুক্ত নয় এটি যুক্ত আপনার স্বাস্থ্যের সাথেও। পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। জানতে চান কী কারণে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যকর দিকগুলো। প্রেমিকের দাড়ি দেখে মেয়েদের রাগ করার দিন এবার সত্যি ফুরালো!

১) অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে

পুরুষদের মধ্যে যাদের ধুলো ময়লা এবং রোদে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য দাড়ি রাখা অনেক উপকারী। এতে করে মুখের ত্বক সরাসরি ধুলো-বালি এবং রোদের সংস্পর্শে আসে না। সুতরাং অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

২) শেভিং র‍্যাশ থেকে মুক্তি

অনেকের ত্বক খুব সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তারা যদি বারবার শেভ করেন তাহলে ত্বকের সেনসিটিভিটির কারণে শেভিং র‍্যাশের সৃষ্টি হয়। দাড়ি রাখার অভ্যাস এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।

৩) স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

সরাসরি রোদ ত্বকে লাগা, শেভ করার সময় ও শেভ করার পর নানা ধরণের কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। তাই পুরুষদের ক্ষেত্রে ডারম্যাটোলজিস্টগণ স্কিন ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে দাড়ি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৪) ব্রণের ঝামেলা থেকে মুক্তি

পুরুষের ত্বকেও ব্রণ ওঠে থাকে। শেভ করার প্রোডাক্ট ও ধুলো-বালি এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। যারা দাড়ি রাখেন তারা নিয়মিত দাড়ির যত্ন নিলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।

৫) ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে

যারা দাড়ি রাখেন তাদের ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে। ডারম্যাটোলজিস্ট ডঃ অ্যাডাম ফ্রাইডম্যান বলেন, ‘মুখের ত্বক দাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকার ফলে সূর্যের আলোর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়, রিংকেল পড়ে অনেক দেরিতে। সুতরাং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেরি হয়’।

৬) অ্যাজমার প্রকোপ কমায়

গবেষণায় দেখা যায় দাড়ি রাখা নাকে মুখে ক্ষতিকর ধুলো-বালি ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে। ফলে ডাস্ট মাইট যার ফলে অ্যাজমার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তা অনেকাংশে কমে আসে। এতে করে অ্যাজমা সংক্রান্ত ঝামেলা থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।