Home / ফিচার / পিকেটিং ও গাড়ি ভাংচুর ছাড়াই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

পিকেটিং ও গাড়ি ভাংচুর ছাড়াই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৮:১২ অপরাহ্ণ, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, সোমবার

 

আন্দোলনের এক অন্যরকম নজির রাখলো বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশে আন্দোলন আর অবরোধের মূলমন্ত্র যেখানে থাকে পিকেটিং আর গাড়ি ভাংচুর সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করছে তার ঠিক উল্টো।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এতোদিনের টানা আন্দোলনে কোথাও কোন পিকেটিং হয়নি, কোথাও কোন আগুন জ্বলেনি, কোথাও কোন গাড়ি ভাঙ্গেনি।

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকে আন্দোলনকারীরা বরণ করছে ফুল দিয়ে আর সেলফি তুলে। পুলিশ সদস্যরাও হাসিমুখে ফুল গ্রহণ করছেন আর সেলফিতে অংশ নিচ্ছেন।

এদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় অবরোধ করেছে ঠিকই। কিন্তু তারা রাস্তার পথচারীদের লিফলেট বিতরণ করে এই আন্দোলনের জন্য মানুষের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ধানমন্ডিতে আন্দোলনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের এই রোদে প্রচন্ড গরমে খাবার পানি সরবরাহ করেছে পুলিশ সদস্যরা।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন বাংলাদেশের আন্দোলনের এক ভিন্ন দিক তুলে ধরলো। যা হয়তো আগে কখনো ঘটেনি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেখে অন্যদের অনেক কিছু শিখার আছে বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মেটাফেজ মইন ফেইসবুকে এই ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেন, “আমার যতদূর মনে পড়ে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এতবড় পরিসরের আন্দোলন কখন ও এত শান্তিপূর্ণ হয়নি।

জ্বালাও পোড়াও ছাড়াও যে নায্য দাবির জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা যায়, তা আজ দেশবাসীর চোখে আঙ্গুল দিয়ে কি দেখিয়ে দিল না এদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেধাহীন (!) শিক্ষার্থীরা?

বিগত সকল আন্দোলনে যখন আমরা পুলিশ বাহিনী কে সবসময় মারমূখি ভূমিকায় দেখি, সেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আজ আন্দোলনকারীদের সাথে সেলফি তুলছে এবং আন্দোলনকারীরা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে,,, এটা কি আমাদের দেশের জন্য একটা নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন স্থাপন করে গেল না?

হতে পারি আমরা মেধাহীন কিন্তু আমরা যে অভদ্র নই এটা কি আপনাদের এখনও বুঝতে বাকি রয়ে গেল? গর্ব করেই আজ বলছি, হ্যাঁ আমি ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি।” বললেন এক শিক্ষার্থী।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫