Home / চাঁদপুর / পাটের চাহিদা বাড়লেও বছরজুড়ে বন্ধ হাজীগঞ্জ স্পিনিং জুটমিল
Star-al-Kayed-Jute-mail
চাঁদপুর স্টার আল কায়েদ জুটমিল

পাটের চাহিদা বাড়লেও বছরজুড়ে বন্ধ হাজীগঞ্জ স্পিনিং জুটমিল

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ স্পিনিং জুটমিলটি বছরজুড়ে বন্ধ রয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০১৬ হতে শ্রমিক মজুরি, গার্ডদের বেতন ও বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিশোধ না করতে পেরে মিল ভাড়াটিয়া মিলটি বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে বলে এমন সংবাদ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা প্রহরীদের একজন জানান ।

মিলটিতে এখন বিদ্যুৎ সংযোগ বিছ্ন্নি থাকায় ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে । এর ৮ জন গার্ডের চুক্তিভিত্তিক বেতনও নিয়মিত পাচ্ছে না এখন ।

২০০১ সালে স্থানীয় একজন শিল্পপতি অগ্রণী ব্যাংক থেকে নিলামে ক্রয় করার পর কিছুদিন মিলটি চালানোর পর বন্ধ করে দেন।

প্রায় ৩-৪ বছর বন্ধ থাকার পর তিনি ভাড়ায় মিলটি চালাতে অপর একজন ব্যক্তিকে ভাড়ায় দেন। অত:পর তিনিও কিছুদিন চালানোর পর মিলটি আবার বন্ধ হয়ে যায় ।

এভাবে খোলা-বন্ধ পর্ব চলার পর পুনরায় জনৈক সালাউদ্দিন ও রনি নামের দু’ব্যবসায়ী মাসিক ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ভাড়ায় চালানো পর মালিকের ভাড়া, ক্রয়কৃত পাটের মূল্য, শ্রমিকের বেতন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করতে পেরে মিলটি সচল রাখতে ভাড়াটিয়া দিশেহারা হয়ে পড়ে।

এদিকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করতে পারায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার কারণেই মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। মিলের সার্বিক দায়িত্ব গার্ডদের প্রধান মানিক সর্দারের নিকট দিয়ে মালিক চলে গেছেন বলে কর্তব্যরত একজন গার্ড জানান ।

গার্ডদের প্রধান ও বর্তমান তদারকির দায়িত্ব মানিক সর্দার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘নারী ও পুরুষের সাপ্তাহিক হাজিরা ভিত্তিক শ্রমিকদের মজুরি ও গার্ডদের বেতন বাবত প্রায় ৩ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ বিল প্রায় ১৫ লাখ টাকা ও মালিকের মাসিক মিল ভাড়া বাবতসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকা বাকি রেখে মালিকদ্বয় চলে গেছে।’

তবে যতোদিন মিলটি চালু ছিলো, ততোদিন পাটের সুতা, কপ, পিজিশন তৈরি হচ্ছিলো। বাজারে এর বেশ চাহিদাও রয়েছে। ১শ’ ৫০ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজে নিয়োজিত ছিল। এদের কাজ করার প্রচুর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভাড়াটিয়া মিলটি চালাচ্ছে না।

এদিকে সরকারিভাবে প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করায় পাটের ব্যবহৃত ব্যাগ বা বস্তার চাহিদা বাজারে প্রচুর। মিলটি বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা এখন কাজ করতে পারছে না।

প্রসঙ্গত, ১৯৬১ সালে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের টোরাগড় এলাকায় ১৭ একর জমির ওপর হামিদিয়া জুট মিল নামে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০১ এটি হাজীগঞ্জ স্পিনিং জুট মিলস নামকরণ করা হয় ।

স্বাধীনতার পর মিলটি চালানোর জন্য অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাংকটি দীর্ঘদিন চালানোর পর বিভিন্ন কারণে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের বাজার আর্ন্তজাতিকভাবে হ্রাস হওয়ায় পাটের মিলগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়।

যার নেতিবাচক প্রভাব দেশের সব জুট মিলগুলোর ওপর পড়ে। এক সময় এশিয়ার সর্ববৃহৎ আদমজী জুট মিলটিও নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় ।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:০০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

হাজীগঞ্জ স্পিনিং জুটমিল বছরজুড়ে বন্ধ

About The Author

প্রতিবেদক- আবদুল গনি

Leave a Reply