Home / জাতীয় / ‘নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া গেলে ফার্মেসি বন্ধ’
‘নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া গেলে ফার্মেসি বন্ধ’

‘নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া গেলে ফার্মেসি বন্ধ’

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৮:৩০ অপরাহ্ণ, ২৬ আগস্ট ২০১৫, বুধবার

‘ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান। নিজ কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিষিদ্ধঘোষিত ওষুধ বাজারে পাওয়া গেলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। ওইসব ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনও বাতিল করে দেওয়া হবে।’ ১৩ আগস্ট মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫১টি ওষুধ নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়।

এইস সফট, নাপা সফটসহ বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত প্যারাসিটামল জাতীয় ১৬টি ওষুধ ছাড়া আরও ৩৫ ধরনের ওষুধের নিবন্ধনও বাতিল করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে এ সব ওষুধের উৎপাদন, বিপণন, মজুদ, বিক্রয়, ক্রয় ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপশি জনসাধারণকে এ সব ওষুধ ব্যবহার না করার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় সুপারিশ অনুযায়ী এ সব ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে এ সব ওষুধ নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে বাজার থেকে প্রত্যাহার করে তার পরিমাণসহ অধিদফতরকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত ওষুধগুলো হল— বেক্সিমকো ফার্মার নাপা সফট ট্যাবলেট, পায়োগ্লিট ৩০ ও ৪৫ ট্যাবলেট, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এইস সফট ট্যাবলেট, টস-৩০ ও ৪৫ ট্যাবলেট, সেনসুলিন ২ ও ৪ ট্যাবলেট, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ডায়াটাস ৩০ ট্যাবলেট, আদ দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালসের পিজোবেট ৩০ ট্যবলেট, দি ইবনে সিনা ফার্মার সফটপ্যারা ট্যাবলেট।

রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যারাডট ও পায়োগির ৩০ ট্যাবলেট, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের পায়োডার ৩০ ট্যাবলেট, এসিআই লিমিটিডের ডায়াট্যাগ ৩০ ও ৪৫ ট্যাবলেট, অপসোনিন ফার্মার রেনোমেট ট্যাবলেট, পাইলো ৩০ ট্যাবলেট, অপসো স্যালাইনের জিসেট ট্যাবলেট, এসকেএফের টেমিপ্রো ট্যাবলেট, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের রসিগ্লিট ২ ও রসিগ্লিট ৪ ট্যাবলেট।

বায়োফার্মার প্রিগলেট ৩০ ট্যাবলেট, এরিস্টোফার্মার গ্লুকোরস ২ ও ৪ ট্যাবলেট, গ্লুকোজন ৩০ ট্যাবলেট, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের ফিভিমেট ট্যাবলেট, পায়োজেনা ৩০ ট্যাবলেট, রোমেরল ২ ও ৪ ট্যাবলেট, দ্য একমি ল্যাবরেটরিজের ফাস্ট-এম ট্যাবলেট, বায়োফার্মার এসিটা সফট ট্যাবলেট, ইউনিমেড এ্যান্ড ইউনিহেলথের একটোস ৩০ ট্যাবলেট, ডেল্টা ফার্মার রসিট ২ ও ৪ ট্যাবলেট, মিল্লাত ফার্মার পায়োট্যাব ৩০ ট্যাবলেট, কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওগলি ৩০ ট্যাবলেট ও ট্যাজন ৪ ট্যাবলেট, নোভেল্টা বেস্টওয়ে ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নরসফট ট্যাবলেট।

জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের পামিক্স-এম ট্যাবলেট, লিওন ফার্মাসিউটিক্যালসের মেটেস ট্যাবলেট, সোমাটেক ফার্মাসিউটিক্যালসের একটল-এম ট্যাবলেট, শরিফ ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যারামিন ও পিগজন-৩০ ট্যাবলেট, প্যাসিফিক ফার্মার পিগিট ৩০ ট্যাবলেট, ডক্টরস কেমিক্যালের পায়োজন ৩০ ট্যাবলেট, অ্যালকো ফার্মার পায়োলিট ৩০ ট্যাবলেট ও দি হোয়াইট হর্স ফার্মার লিট-৩০ ট্যাবলেট।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫