Home / জাতীয় / রাজনীতি / যতক্ষণ দল আছে ততক্ষণ নাম বদলের প্রশ্নই আসে না
যতক্ষণ দল আছে ততক্ষণ নাম বদলের প্রশ্নই আসে না

যতক্ষণ দল আছে ততক্ষণ নাম বদলের প্রশ্নই আসে না

‘যতক্ষণ জামায়াতে ইসলামী নামে দল আছে ততক্ষণ নাম বদলের প্রশ্নই আসে না’- বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের তো নাম আছে। তাহলে নতুন নাম কেন। অধ্যাপক মুজিবুর আরও বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান সাঁড়াশি অভিযান আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে। এর পেছনে শুধু সরকারই না, রিমোট কন্ট্রোলেও কিছু হচ্ছে।

গত শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আহ্বানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে একটি অনলাইন নিউজের সাথে সংক্ষিপ্ত আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ২০১৪ সালের শেষ দিকে তিনি জামায়াতের নায়েবে আমির নির্বাচিত হন। একইসঙ্গে জামায়াত সমর্থিত শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। কর্মজীবনে তিনি বগুড়া মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী এলাকার প্রেমতলী কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন।

প্রশ্ন: আপনারা ইতোমধ্যে দাবি করেছেন- গুপ্তহত্যাকে কেন্দ্র করে যারা গ্রেফতার হচ্ছে তাদের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীই বেশি। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা?

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: সরকারের দমন-পীড়নের এই পদক্ষেপ, সেটি তো নতুন না। অনেক আগে থেকেই শুরু করেছে। এখন সরকারই অনেকটা আতঙ্কিত। আতঙ্কের কারণে সরকার এগুলো করছে বলে আমাদের ধারণা। আর রিমোট কন্ট্রোলেও কিছু হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন।

(এরই মধ্যে রবিবার বিকালে জামায়াতের প্রচার বিভাগের পাঠানো বিবৃতিতে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার দাবি করেন,গত ২৪ ঘণ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্র শিবিরের ৮২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।)

প্রশ্ন: আপনাদের দলের নাম পরিবর্তনের কথা শোনা যাচ্ছে। অনেকে এমন দাবি করছেন।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: না, নাম পরিবর্তনের প্রশ্নই আসে না। যতক্ষণ জামায়াতে ইসলামী আছে, ততক্ষণ নতুন নাম কেন?
[উল্লেখ্য, একই সময়ে আলাপকালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সেলিম উদ্দিনও নতুন নাম নির্ধারণের কথা উড়িয়ে দেন।]

ইফতারের আগে কথা মাওলানা আবদুল হালিমের সঙ্গে কথা বলছেন মুজিবুর রহমান
প্রশ্ন: আপনাদের স্থায়ী কর্মসূচির মধ্যে চারটি দফা রয়েছে। এর মধ্যে চার নম্বর দফাটিকে আপনারা বাতিল করেছেন, নিষ্ক্রিয় আছেন?

[ উল্লেখ্য, জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ধারা ৬ এর স্থায়ী কর্মসূচিতে বলা হয়েছে, জামায়াতের স্থায়ী কর্মসূচি হবে:
১.বাংলাদেশের সব নাগরিকের কাছে ইসলামের প্রকৃত রূপ বিশ্লেষণ করে চিন্তার বিশুদ্ধিকরণ ও বিকাশ সাধনের মাধ্যমে জীবনের সবক্ষেত্রে ইসলামের অনুসরণ এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনুভূতি জাগ্রত করা।
২.ইসলামকে জীবনের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে আগ্রহী সৎ ব্যক্তিদেরকে সংগঠিত করা এবং তাদেরকে ইসলাম কায়েম করার যোগ্যতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ দান করা।
৩. ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক সংশোধন, নৈতিক পুনর্গঠন ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন এবং দুঃস্থ মানবতার সেবা করা।
৪.গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার পরিবর্তন এবং সমাজের সর্বস্তরে সৎ ও চরিত্রবান লোকের নেতৃত্ব কায়েমের চেষ্টা করা। ]

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: না, আমাদের কর্মসূচি আছে। কর্মসূচি কখনও আমরা বাদ দিই না। পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে কখনও কমবেশি হয়,এই আর কি। পরিবেশের কারণে কর্মসূচি কমবেশি হয়েছে। কিন্তু কর্মসূচি ঠিক আছে।

প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনার দলের লাল-সবুজ রঙের একটি লোগো সমৃদ্ধ বিবৃতি আসে গণমাধ্যমে। পরের দিন প্রচার বিভাগ থেকে জানানো হয়, জামায়াতের কোনও লোগো নেই? আসলে লোগো কি নেই?

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: জামায়াতের যেটা আছে, সেটা আক্বিমুদ্বীন। কোরআন শরিফের একটা আয়াত। আন আক্বিমুদ্বীন। তোমরা আল্লাহর দ্বীনকে কায়েম করো। ওই আক্বিমুদ্বীনকে একটু সুন্দর করা হয়েছে আর কি।

প্রশ্ন: কিন্তু ওই লোগোটাতে তো আক্বিমুদ্বীন ছিল না?

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: হয়তো কেউ করেছে। (সূত্র- বাংলা ট্রিবিউন)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:০০ এএম, ১৭ জুন ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

Leave a Reply