সারাদেশ

নতুন এমপিওভুক্তির সুযোগ পাচ্ছেন ১,৫৯৭ শিক্ষক

এসব শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে শিগগিরই নির্দেশনা জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান এবং অতিরিক্ত শ্রেণি শাখার নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক এবং বিভিন্ন বিষয়ের বাদ পড়া বেসরকারি কলেজের শিক্ষক ৪৯৪ জন, বেসরকারি স্কুলের অতিরিক্ত শ্রেণি শাখার শিক্ষক ৬৬৮ জন এবং ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় ৪৩৫ জনসহ এমপিও বঞ্চিতের সংখ্যা ১, ৫৯৭ জন।

এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জবেদ আহমেদ বলেন, ‘বাদ পড়া তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক, অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা শিক্ষক এবং ডিগ্রিস্তরের তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিও দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এমপিও প্রদানে নির্দেশনা জারি করা হবে।’

তিনি জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের প্রস্তাবের বাইরেও যদি কোনও শিক্ষক বাদ পড়ে থাকেন তারাও নির্দেশনার আলোকেই এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা অনুমোদনের বিপরীতে নিয়োগ দেয়া শিক্ষকদের ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর পরিপত্র জারি করে এমপিও বন্ধ করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ওই পরিপত্রে বলা হয়েছিল, এমপিও নির্দেশিকা ২০১০ সালে যাই থাকুক পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা বা বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে ওইসব বিষয়ের বিপরীতে নিয়োগ দেয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে। সরকার এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বহন করবে না।

কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার সরকারি অংশ প্রদান সম্পর্কিত ১৯৯৫ সালের জনবল কাঠামো ২০১৩ সালে সংশোধন করে কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি প্যাটার্নভুক্ত করা হয়। আর ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী কম্পিউটার বিষয়টি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নামে সংশোধন করে তা বাধ্যতামূলক করা হয়।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর প্রস্তাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও চারুকলাসহ কয়েকটি বিষয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর, দীর্ঘদিন বঞ্চিত থাকা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনাসহ কয়েক বিষয়ের ৭ , ১৪৬ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে সরকার। এ সময় বাদ পড়েন বেশ কিছু শিক্ষক। আর ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় শিক্ষকরাও এমপিওবঞ্চিত হন।

অন্যদিকে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি স্তরে বিষয় অধিভুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনজন শিক্ষক থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, ডিগ্রি প্যাটার্নে দু’জন শিক্ষকের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ দেওয়া হয়। তবে তৃতীয় শিক্ষককের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ দেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করতে হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এসব শিক্ষকদের এমপিও দিতে ১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত ওই সভায় বঞ্চিত এসব শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
৩ জানুয়ারি ২০১৯ ,বৃহস্পতিবার

Share