দেশের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্তের তারিখ ঘোষণা

২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

এক্ষেত্রে আগামি ২ নভেম্বর চূড়ান্ত করা হবে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি। ভোটার তালিকা চূড়ান্তের পরেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, মাঠ কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া যারা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করবেন তাদেরও আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরপরই মাঠ কর্মকর্তাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কাজে হাত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে কর্মকর্তাদের।

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো.নাসির উদ্দিন চৌধুরীর পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে,জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা বা থানা ভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার জন্য পাঠানো হবে আগামি ২৮ সেপ্টেম্বর।

এরপর উপজেলা বা থানা ভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনি কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে ২৮ অক্টোবর। সবশেষে ৩০০টি নির্বাচনি এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে ২ নভেম্বর।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রার্থীদের কাছে সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে একটি অঙ্কের টাকা পরিশোধ করে আসনভিত্তিক ওই সিডি গ্রহণ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। যেই সিডির ভিত্তিতেই প্রার্থীরা জানতে পারবেন কে তার ভোটার।

১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি । সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে সময় দেয়া হয়েছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর। আর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।

সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪শ ৪০ জন।

এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪লাখ ৪৫ হাজার ৭ শ ২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮ শ ৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮ শ ৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে যা জানা যাবে আগামি ১৪ সেপ্টেম্বর।

খসড়া তালিকা অনুযায়ী এবার ৪২ হাজার ৪শ টির মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। ভোটকক্ষ হতে পারে ২ লাখ ৬১ হাজার ৫শ টি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোট ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬ শ ৫৭টি। এরমধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়।

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এজি

Share