চাঁদপুর সদর

চাঁদপুরে দেওয়ানবাগের মাহফিল পণ্ড : ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

চাঁদপুর সদরে দেওয়ানবাগের ওয়াজ-মাহফিলের পোস্টারের লেখাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ঢালির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বাগাদী দরবারের পীর আলহাজ্ব এ কে এম নেয়ামত উল্যাহ খানের মেঝো ছেলে পীরজাদা মাও. মু. মাহফুজ উল্যাহ খান, ছাত্রীর বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ঢালিরঘাট বাজারের মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য প্রবেশ করে। মসজিদের ইমামের অনুরোধে তিনি সেখানে আসরের নামাজের ইমামতি করেন এবং নামাজ শেষ উপস্থিত মুসল্লিদের ক’জন দেওয়ানবাগের পোস্টারে লেখা ‘মোহাম্মদীয়া ইসলাম’ ও ঈদে মিলাদুনবী (স.) এর পার্থক্য সম্পর্কে জানতে চায়।

এরই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের ধর্ম শুধু ইসলাম। আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (স.) আমরা ঈদে মিলাদুন্নবি মানি কিন্তু এ মোহাম্মদিয়া ইসলাম মানি না। তারা ওই ইসলাম মান্য করুক, আমরা এটা মানিনা। আমাদের বাবা-দাদা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কেউ এরকম ইসলাম মানে না আমরাও মানবো না।’

নামাজ শেষে স্থানীয় ডা. আবু তাহের ভূইয়ার দোকানে বসলে দেওয়ানবাগের মুরিদ মোশারফ (৩০) পিতা- আব্দুল আজিজ, আবুতাহের (৩৫) পিতা- আবুতাহের ছৈয়াল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পার্থী গিয়াস উদ্দিন নান্নুসহ ক’য়েক জন পীরজাদা মাহফুজ উল্যাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পার্শ্ববর্তী এলাকা বাগাদী, চৌরাস্তা, ঢালিরঘাট এলাকা থেকে হাজারো জনোতার ঢল নেমে ঢালীর ঘাট আসে এবং তাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম ও ফারুকের নেতৃত্বে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং দেওয়ানবাগ সমর্থিত গিয়াস উদ্দিন নান্নুকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার ইসহাক গাজী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢালীর ঘাট বাজারে দেওয়ানবাগীর সমর্থকরা ওয়াজ-মাহফিলে করার প্রস্তুতি নেয়। এ উপলক্ষে ওই পোস্টারের লেখা নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাগাদী দরবার শরীফের পীরজাদা মাওলানা মাহফুজ উল্যাহ ঢালীর ঘাট জামে মসজিদে আসর নামাজ শেষে মুসল্লিদের প্রশ্নের জবাবে বক্তব্য রাখেন। কিছু মুসল্লি মসজিদ থেকে বের হয়ে দেওয়ানবাগী সমর্থকদের লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এতে কবরে দু’পক্ষ উত্তেজিত হয় এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উল্লাহ অলী জানান, ‘পীরজাদাকে লাঞ্ছিত করা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া খবর পেয়ে আমি ফোর্স পাঠিয়েছি, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে।’

সর্বশেষ খবর জানা যায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসার শর্তে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়।

করেসপন্ডেন্ট ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১০:৩১ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, শুক্রবার
এইউ

Share