নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস ২৮ মে

জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস ২৮ মে।এবার করোনার প্রভাবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সীমিত আকারে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরবকার নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করে আসছে।

নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য,মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়ে আসছে। গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সকল নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণই হল নিরাপদ মাতৃত্ব।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা.সাখাওয়াত উল্লাহ ২৮ মে সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত , মাতৃমৃত্যু কমাতে মিডওয়াইফ বা ধাত্রীদেরকে পিলার হিসেবে গণ্য করা হয়। যারা পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও সন্তান প্রসবকালীন সময়ে দক্ষ প্রসব সহায়তাকারীর মাধ্যমে প্রসব করানোর সেবা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ সরকার মিডওয়াইফ এর মাধ্যমে নিরাপদ মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি এবং জরুরি প্রসব সেবাসহ প্রসবকালীন জটিলতায় সঠিক রেফারেল সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ জাতীয় মাতৃস্বাস্থ্য কৌশল (২০১৯ থেকে ২০৩০) অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ৪৭.১% থেকে ৮৫% এ উন্নীত করা এবং দক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসবের হার ৫০% থেকে ৯০% এ উন্নীত করা।

পাশাপাশি এ কৌশলের আরও একটি লক্ষ্য হলো -মাতৃমৃত্যুর হার ১৭২ থেকে ৭০ এ হ্রাস করা (প্রতি ১০০০ জীবিত জন্মে) এবং নবজাতকের মৃত্যুর হার ১৭ থেকে ১২তে কমিয়ে আনা। গর্ভকালীন সময়ে কমপক্ষে ৪ বার গর্ভকালীন সেবা গ্রহণের হার ৩৭.২% থেকে ১০০% উন্নীত করা।

সকল নারীদের নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মিডওয়াইফদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রমাণভিত্তিক অনুশীলনের মাধ্যমে মিডওয়াইফদের মাধ্যমে নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি,নিরাপদ প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা এবং সবার জন্য পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেরিস্টোপস বাংলাদেশ,ইউএনএফপিএ,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন এনজিও ও দাতা সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ২৭ মে ২০২১

Share