ব্যাটের মালিক তামিম আর সেঞ্চুরির মালিক রুমানা। ব্যাপারটা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও কারণটা খুবই মজার।
এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবার আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল যখন চূন্তান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তখন রমানা আহমেদের কপালে ছিল চিন্তার ভাঁজ। তার শখের ব্যাটজোড়া গিয়েছিল চুরি। বিপদে পড়ে বাংলাদেশ নারী দলের অধিয়ান্ক স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন তামিম ইকবালের। সাথেই সাথেই ব্যাট নিয়ে হাজির হয়েছিলেন জাতীয় দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। এবার সেই ব্যাট দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেই রুমানা হাঁকালেন শতক!
পচেফস্ট্রুমে গা-গরমের ম্যাচে বুধবার শুধু শতকই নয় দলনায়িকা দলকে উদ্ধার করেছেন দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয় থেকেও। দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থ-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা দলের বিপক্ষে রুমানা যখন এসেছিলেন উইকেটে তখন মাত্র চার রানে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে প্রমীলারা।
ফারজানা হকের সঙ্গে কি এমন রসায়ন জমে গেল রুমানার যে ম্যাচের বাকি সময়ে আর এক উইকেটও হারায়নি বাংলাদেশ। রুমানার সঙ্গে শতকের দেখা পেয়েছেন ফারজানাও। দুজন মিলে গড়েছেন ২৬৬ রানের জুটি। নির্ধারিত ওভার শেষে বাংলাদেশ দল পেয়েছে দুই উইকেট হারিয়ে ২৭০ রানের বড় সংগ্রহ। দ্বিতীয় ইনিংসে জবাব দিতে একটু পরেই মাঠে নামবে নর্থ-ওয়েস্ট দল।
নিজের অর্ধশতকটা বেশ ধৈর্য্যের সঙ্গেই তুলেছিলেন রুমানা। ৮২ বলে ৫২ রানের পর পরের পঞ্চাশ অর্থাৎ শতরানে যেতে অধিনায়ক সময় নিয়েছেন মাত্র ৪৮ বল। শেষমেশ ১৪৪ বলে ২০ চারে একপ্রান্ত আগলে রেখেই মাঠ ছেড়েছেন অপরাজিত ১৩৬ রান নিয়ে।
অর্ধশতকে রুমানার চেয়ে ধীরগতির হলেও ফারজানা অধিনায়ককে ছাড়িয়েছেন শতক তুলে নেওয়ার গতির দিক দিয়ে। ১১৮ বল অর্ধশতকের দেখা পাওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান পরের ৫০ রান করেছেন মাত্র ২৫ বলে! সব মিলিয়ে ১৪৩ বলে ১০ চারে খেলেছেন ১০২ রানের হার-না-মানা ইনিংস।
রুমানাদের দূর্ভাগ্য, এটা প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল। আর নাহলে এই ম্যাচে গড়া রেকর্ডগুলোয় লিখা থাকত তাদের নামই। রেকর্ডের পাতায় নাম না উঠুক, অন্তত শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলকে একটা বার্তা তো দেওয়া গেল।
প্রোটিয়া মহিলা দলের নিজেদের প্রথম ওয়ানডের লড়াইয়ে শুক্রবার পচেফস্ট্রুমেই মাঠে নামছে রুমানারা।