জাতীয়

তহবিল সংগ্রহের জন্য ‘বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপে’র ব্যাংক ডাকাতি

সোমবার ০৮ জুন ২০১৫ :  ০৩:২১ অপরাহ্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা :

ইরাক-সিরিয়ার সুন্নীপন্থী সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদলে তৈরী ‘বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ’ নামের নতুন সংগঠনের তহবিল সংগ্রহের জন্য এর সদস্যরা ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ‍যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টার সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি) ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সন্দেহভাজন নয়জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের সম্পর্কে সোমবার গণমাধ্যমকে এমন তথ্যই দেন কৃষ্ণপদ রায়।

তিনি জানান, আটককৃতদের মধ্যে রাত ৩টার দিকে বনশ্রীর এল-ব্লকের একটি বিল্ডিংয়ের গ্যারেজ থেকে ছয়জন এবং সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সূত্রাপুরের লালমোহন দাস লেনে ব্যাংক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিনজনকে আটক করা হয়।

বনশ্রী থেকে আটককৃতরা হলেন- কাজী ইফতেখার খালেদ ওরফে খালেদ ওরফে ইফতি, ফাহাদ বিন নুরুল্লাহ কাসেমী ওরফে ফাহাদ ওরফে কায়েস, মো. রাহাত, দ্বীন ইসলাম, আরিফুল করিম চৌধুরী ওরফে আদনান ও নুরুল ইসলাম। সূত্রাপুর থেকে আটকরা হলেন- দলনেতা মাওলানা নুরুল্লাহ কাশেমী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো ইয়াসিন আরাফাত।

কৃষ্ণপদ রায় জানান, হুজি এবং আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের বিভিন্ন সদস্যদের সমন্বয় নতুনসৃষ্ট সংগঠন ‘বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ’ তৈরী করেছে আটক সদস্যরা।

তিনি জানান, তারা এদেশে আইএস এর আদলে ‘বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ’ নামের একটা জঙ্গি সংগঠনের সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের নিজেদের জঙ্গি সংগঠনের তহবিল সংগ্রহের জন্য ব্যাংক ডাকাতির উদ্দেশ্য পরিকল্পনা করেছিল এবং তারা সমবেত হয়।

কৃষ্ণপদ রায় জানান, ঢাকা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের একটি জেলায় ব্যাংক ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছিল তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের পাঁচ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরীর বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি, বোমা বা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক তৈরীর গবেষণাগার, আটটি বোমা, ছয়টি চকলেট বোমা, চারটি চাপাতি, জিহাদী বই, নতুন দলটির প্রস্তাবিত পতাকা উদ্ধার করা হয়।

‘উদ্ধারকৃত বই, বিভিন্ন ডকুমেন্ট স্টাডি করে আমাদের মনে হয়েছে ডাকাতি ছাড়াও তাদের বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনা ছিল,’ দাবি করেন কৃষ্ণপদ রায়।

তিনি জানান, আটকৃতদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তিতে পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আটকদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও এবং সূত্রাপুর থানায় ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান কৃষ্ণপদ রায়।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Share