Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে ২৮টি ডাকঘরে পোস্ট মাস্টার থাকলেও নেই কোন নিজস্ব ভবন
ডাকঘরে

হাজীগঞ্জে ২৮টি ডাকঘরে পোস্ট মাস্টার থাকলেও নেই কোন নিজস্ব ভবন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ৩২ ডাকঘরে পোস্ট মাস্টার থাকলেও ২৮টি শাখায় নেই কোনো নিজস্ব ভবন। এসব ডাক ঘরের কার্যক্রম চলছে দোকানপাট, সরকারি বিভিন্ন পরিত্যক্ত কক্ষে, নিজস্ব টাকায় ভাড়া করা ঘরে। ফলে স্থানীয় লোকজন ডাক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

হাজীগঞ্জ পোস্ট অফিসের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বর্তমানে দুই ভাগে ৩২ ডাকঘর পরিচালিত হয়ে আসছে।এর মধ্যে ২৮টি ডাকঘরের নির্দিষ্ট কোন কার্যালয় নেই। পোস্ট মাস্টাররা নিজ বাসায়, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফেরারী হয়ে, সরকারি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন বছরের পর বছর।

হাজীগঞ্জ শাখার টঙ্গীরপাড়, বলিয়া বাজার, ধড্ডা, পাতানিশ,কালচোঁ, সুহিলপুর, আলীগঞ্জ, উয়ারুক, আহাম্মদপুর, বড়কুল, পালিশারা, কাশিমপুর, সেন্দ্রা, ঘনিয়া, মনতলাসহ প্রায় ২৮ টি ডাক ঘরের নিজস্ব কোন ভবন নেই। শুধুমাত্র গত কয়েক বছরে নোয়াহাটা ও চৌধুরী বাজার পোস্ট অফিসের নিজস্ব ভবণ পেয়েছে।

এসব এলাকার স্থানীয়রা জানান, এক সময় আমরা পোস্ট অফিস থেকে চিঠিপত্র আদান প্রদান করতাম। এখন আসলে সেই ভাবে পোস্ট অফিসে যাই না এবং মাস্টারকেও দেখিনা। তবে স্থায়ী পোস্ট অফিস হলে পূণরায় ডিজিটাল সেবা গ্রহন করতে পারবো।

এ প্রসঙ্গে হাজীগঞ্জ পোস্ট অফিস প্রধান কামাল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যেসব এলাকায় কোন দানশীল ব্যক্তি ৩ শতাংশ জমি স্বেচ্ছায় ডাকঘরে নামে দান করবে, তাহলে সেখানে ভবনের ব্যবস্থা হবে।

এ প্রসঙ্গে ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ডাকঘরের জন্য স্থায়ী সম্পত্তি না থাকায় ভবন করা যাচ্ছে না। সেবা প্রদানে ডাকঘর পুনরায় সচল করা প্রয়োজন।

হাজীগঞ্জ কার্যালয়ের পোস্ট মাস্টারের সহকারী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমাদের নিজস্ব কার্যালয় নেই, নেই চেয়ার-টেবিল। অন্যের দোকানে রাজস্ব, ডাকটিকিট, খাম বিক্রি করছি।

জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক কাঞ্চন সাহা বলেন, পোস্ট অফিসের শাখা অফিস গুলোতে কেউ তিন শতাংশ সম্পত্তি অনুদান দিলেই আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে থাকি।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১২ মার্চ ২০২২