বিশেষ সংবাদ

টাকার মালা পাওয়া বাদশা মিয়ার আলোচিত গল্প

একটা সময় ছিল যখন নির্বাচনে জিতলে বা পরীক্ষায় ভালো ফল করলে কিংবা কোন উদযাপনে মানুষকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেয়ার ঘটনা ঘটতো।

কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, সেই উদযাপনের ধরণ-ধারণেও এসেছে পরিবর্তন। এরই রেশ ধরে সম্প্রতি দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী বা নির্বাচিত ব্যক্তিকে শুভেচ্ছা জানাতে বা বরণ করে নিতে সমর্থক বা কর্মীরা টাকার মালা পরিয়ে দেয়ার ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনো কখনো সেরকম ছবিও দেখা যায়।

রাজধানীর কয়েকটি দৈনিকে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত এমন একটি ছবিতে দেখা যায়, নির্বাচিত হবার পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদশা মিয়াকে পরিয়ে দেয়া হয়েছে টাকার মালা।

কত টাকা ছিল সেই মালায় জানতে চাওয়ায় বাদশা মিয়া বলেছেন, তাকে পরানো (ছবিতে) মালাটিতে প্রায় দশ হাজারের মত টাকা ছিল। তবে তার ইউনিয়নের অধীনে মোট ১৭টি গ্রাম রয়েছে, এর কেবল একটিতে ঘুরেই এই মালাটি পেয়েছিলেন তিনি।

নির্বাচিত হবার পরে আরো ছয়টি গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি, সেখানেও অনুরূপ টাকার মালা পেয়েছিলেন। তবে সেগুলোতে অত বেশি টাকা ছিল না বলে জানিয়েছেন বাদশা মিয়া।

ছবিটি ঘিরে হওয়া সমালোচনার জবাবে তিনি বলেছেন, আমি নিজের ইচ্ছায় ঐসব টাকার মালা পরিনি। আমার সমর্থক ও কর্মীরা ভালোবেসে পরিয়ে দিয়েছে। আরো কত গ্রামে যেতে পারিনি। তারা রাগ করে বলছে, আপনার জন্য কত টাকার মালা বানিয়ে রাখলাম। আপনি আসলেন না!”

এদিকে কিভাবে সেই মালা খরচ করেছেন জানতে চাইলে বাদশা মিয়া জানিয়েছেন, যেদিন তিনি টাকার মালা পেয়েছেন সেদিনই ঐ টাকা কর্মীদের খাবার, কোমল পানীয়, প্রচার কাজে ব্যবহার হওয়া মোটর সাইকেলের ভাড়া এবং তেলের খরচ পরিশোধ করে শেষ হয়ে গেছে। তবে মালার একটি টাকাও তিনি বাড়িতে নেননি বলে দাবি করেছেন তিনি।

এ বছরের মে মাসের ২৮ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাদশা মিয়া। আর জুন মাসের দুই তারিখে তাকে ঐ সংবর্ধনা দেয়া হয়। তবে এত পরে এ বিষয়ে সংবাদ হবার কারণ জানতে চাইলে বাদশা মিয়া দাবি করেন, ‘শত্রুতার কারণে এমনটা হতে পারে’। (বিবিসি)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share