Home / ফিচার / জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সৈনিক ও শেখ হাসিনাই বিশ্বসেরা
army
প্রতীকী ছবি

জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সৈনিক ও শেখ হাসিনাই বিশ্বসেরা

সারা বিশ্বেই জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সৈন্য চাইবে, তৈরি হোন সংশ্লিষ্টরা ।

মায়ানমারে মানুষ হত্যা, লুট, বাড়িঘরে আগুন, উচ্ছেদ হয়, দু’দেশের নারী পাচারকারিদের ইন্ধনের কথাটা বলেছিলেন কক্সবাজারের একজন সিনিয়র সাংবাদিক ২০১২ সালে।

কথাটি উদ্ভট মনে হতে পারে, কিন্তু এটাও অন্যতম কারণ। সাথে আরেক বিষফোড়া জঙ্গিদের অতর্কিত আক্রমণও এসব নারকীয় তান্ডবের পেছনে রয়েছে । তাই বলে নিরাপত্তা বাহিনী যে বর্বর আক্রমন সাধারণ মানুষের ওপর করছে তাও জঙ্গিদের বর্বরতাই সমতূল্য।

বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে সময় নিয়ে সঠিকভাবে জঙ্গিদের আস্তানা যথাযথভাবে চিহ্নিত করে, চারপাশের মানূষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে, বারবার আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়ে অতঃপর যুদ্ধ শুরু এবং মানবিকতার পক্ষেই জয়লাভ। পাশবিক শক্তিকে আইনী প্রক্রিয়ায় আসার আহবান জানানো সত্ত্বেও সুযোগ না নেয়ার পর চরমভাবে মোকাবেলা করা সারা বিশ্বের বিবেকমান মানুষের কাছে প্রশংসনীয় হচ্ছে।

কিন্তু, আমাদের প্রতিবেশি দেশ মায়ানমারে “শান্তিরাণী” ক্ষমতাসীন থাকার পর যে আচরণটি করলেন তা ঘৃণ্য ও জঘন্য গণহত্যা ।

কিন্তু, আমাদের জাফরুল্লাদের অনুসারীরা যে মায়াকান্না কাঁদার পাশাপাশি বিশ্বের নানান দেশের নানান ঘটনার ছবি মায়ানমারের বলে চালিয়ে দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে দেশে উষ্কানির চেষ্টা, বাংলাদেশে গোলযোগ সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং শেখ হাসিনাকে অমানবিক বানানোর চেষ্টা এসবও সমানভাবেই নিন্দনীয় ও অপরাধ হিসেবে ধর্তব্য ।

কষ্ট হয় যে, জাফরুল্লাদের সাথে সুর মিলিয়ে পূর্বাপর না জেনেই মায়ানমারের গত ৫০ বছরের ইতিহাস ও মায়ানমারে আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের তৎপরতার পূর্বাপর সম্পর্কে না জেনেই “বর্ডার খুলে দাও” বর্ডার খুলে মানবতা দেখাও” বলে যারা হৈ চৈ করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, নিজের ঘরে বাতি দিয়ে মসজিদে, মন্দিরে, গীর্জায়, প্যাগোডায় ও প্রতিবেশির ঘরে বাতি দিতে হয়।

আজ বিশ্বের নানা দেশে যেখানেই বাংলাদেশের সৈন্য যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হিসেবে গেছে, সেখানেই সত্যিকার অর্থেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

কারণ, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যেমন কোনো মুক্তিবাহিনীর সদস্য অমানবিক আচরণ সাধারণ মানুষের ওপর না করে মানুষের সহযোগিতা নিয়েই শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছিলো। এখন বাংলাদেশের সৈনিকেরাও জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতেও সেই চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়েই কাজ করে সংখ্যায়, ও গুণে, দক্ষতায়, মানবিক আচরণে শ্রেষ্ঠ।

সেদিন দূরে নয়, অশান্ত দেশগুলোর সাধারণ মানুষ বলবে, ‘আমাদের দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায়, আমরা বাংলাদেশের সৈন্য চাই’ এমনকি মায়নামার ও পাকিস্তানের মানুষও একই কথা বলবে।

মানবতার জয় হোক, সারা বিশ্বে দানবীয় শক্তি নির্মূল হোক। আসুন আমরা আমাদের মনের পশুত্বকে দমন করি, মানুষত্বকে জাগ্রত করি।

লেখক পরিচিতি- মো. মাহমুদ হাসান,
(ভূতপূর্ব কলেজ অধ্যক্ষ ও সমাজ গবেষণাকর্মী
)

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:৫০ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply