হাজীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে শিক্ষকের ভুল বোঝাবুঝির অবসান

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭ নম্বর বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজীর সাথে রামচন্দ্রপুর ভৃঁইয়া একাডেমীর শিক্ষক ফারুক হোসেন মাষ্টারের সাথে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।

৮ নভেম্বর সোমবার ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলনে উভয় বক্তব্যে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেন।

গত শুক্রবার ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বাজারের শ্রীকৃষ্ণের দোকানে চেয়ারম্যানের সাথে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৃতীয় পক্ষ ফারুক মাষ্টারকে দিয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।

বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ৭ নভেম্বর রোববার স্থানীয় গন্যমান্যরা চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী ও অভিযোগকারী স্কুল শিক্ষক ফারুক মাষ্টারকে নিয়ে সালিশী বৈঠকে বসেন। উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি উপনীত হয়ে মানবিক দৃষ্টিতে আপোষ নিষ্পত্তি করিয়া দেয়। ইহাতে আমাদের কাহারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার উজড় আপত্তি থাকবেনা বলে লিখিত স্বাক্ষরে উভয় আপোষ নামায় স্বাক্ষর করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী বলেন, গত শুক্রবার রামচন্দ্রপুর শ্রীকৃষ্ণের দোকানে প্রায় ১০/১২ জন লোকের সামনে আমি ও আমার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমরান হোসেন ফারুক মাষ্টারকে দলীয় বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সবাই মিলে দই মিষ্টি খেয়ে এক সাথে দোকান থেকে বের হই। পরে শুনি আমাদের নামে তৃতীয় একটি পক্ষ অরাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে ফারুক মাষ্টাকে দিয়ে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। পরে স্থানীয় গন্যমান্য আ. রশিদ, আমির হোসেন, আজাদ মাষ্টারসহ কয়েকজন বসে উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আপোষ নিষ্পত্তিতে সম্মত হই।

স্কুল শিক্ষক ফারুক মাষ্টার সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের কাছে কেউ ভুল বুঝিয়েছে। সেই দিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য উভয়ের মান সম্মানে আঘাত লাগে। আমাদের এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিয়ে তৃতীয় একটি পক্ষ রাজনীতি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে তা বুঝতে পেরে আমি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগটি আপোষ নিষ্পত্তি করেছি। আমরা পূর্বের ন্যায় এক সাথে মিলে মিশে থাকবো।

উক্ত সংবাদ সম্লেলনে উভয় পক্ষের মানিত শালিসদার আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের ইউনিয়নের শুনাম নষ্ট করার লক্ষে একটি স্বার্থনীহি মহল সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। বিষয়টি অনুধাবন করে আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসলে তারা স্ব জ্ঞানে স্ব ইচ্ছায় আপোষ নামায় স্বাক্ষর করে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর পাঠাই।

উক্ত সংবাদ সম্লেলনে চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরাসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ এবং ইউপি সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Share