Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে পরিত্যাক্ত ঘোষণার পরেও ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান
হাজীগঞ্জে পরিত্যাক্ত ঘোষণার পরেও ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

হাজীগঞ্জে পরিত্যাক্ত ঘোষণার পরেও ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে গত ৪ বছর পূর্বে পরিত্যাক্ত ভবন ঘোষণা করেন উপজেলা শিক্ষা প্রকৗশলী অধিদপ্তর। বিদ্যালয় কৃর্তপক্ষ বিকল্প কোন বরাদ্ধ না পেয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়ে ঝুকিপূর্ণ ভবনের নিচে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১৪৮ নং গন্ধর্ব্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালটি যেকোন সময় দেওয়াল ধসে ও গ্রেডবীম ভেঙ্গে পরে প্রাণহানীসহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা শিকার হতে পারে। এতে করে প্রায় দেড়শতাধিক কোমলমতি শিশুর জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের আশংকা দেখা দিতে পারে। আর এসব যেন দেখার কেউ নেই!

জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে স্থানীয় প্রকৗশলী অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবণ নির্মাণ করা হয়। গত কয়েক বছর যাবৎ ভবনটির তিনটি কক্ষে গ্রেডবীম ও দেওয়ালের ফাটল সৃষ্টি হয়।

গত প্রায় ৪ বছর ধরে নতুন ভবনের জন্য সংশিষ্ট দপ্তরের একাদিক আবেদন করলেও এখনো কোন নতুন ভবন পাওয়ার সম্ভবনা দেখা যায়নি। সর্বশেষ এ উপজেলার স্থানীয সংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বরাবর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দসহ এলাকাবাসী নতুন ভবনের জন্য লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জোড় দাবি জানান বলে জানা যায়।

বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করা ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছাইমম, ফাহাদ হোসেন, ৫ম শ্রেণির আফছার, মাহামুদা ও আয়েশা আক্তার বলেন, ‘বর্ষাকাল আসলে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে বিভিন্ন স্থানে পানি পরে। এছাড়া বর্তমানে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ছাদে ও দেওয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। যেকোন মুর্হুতে দেওয়াল ধসে পরে বড় ধরণের দূর্ঘটনা হতে পারে। এই ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে আমাদের বিষম ভয় হয়।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বলেন, ‘বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪০ জন শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। নতুন ভবণের ব্যাপারে গত তিন বছর দরে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যালয়ের গ্রেডবীম ও দেওয়াল ফাটলের বিষয়ে জানানো হইলেও আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে নতুন করে কোন ভবন পাই নাই।’

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়
অক্টোবর ০৮,২০১৮

Leave a Reply